/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/sanitay-napkins-rep-759.jpg)
স্কুলে মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যক্তিগত ঘর থাকাও দরকার বলে জানানো হয়েছে।
শিশু সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে এ সংক্রান্ত আইন, আদর্শ আচরণ বিধি এবং নির্দেশিকা সংবলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর)। পুস্তিকাটির নাম দেওয়া হয়েছে- 'সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফ চিলড্রেন ইন স্কুলস'। এর পাশাপাশি, ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার সময় ছাত্রীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়েও শিক্ষকদের উদ্দেশে সুনির্দিষ্ট উপদেশ দেওয়া হয়েছে এই পুস্তিকায়।
সম্প্রতি ফজিলকার একটি সরকারি স্কুলের শৌচালয়ে স্যনিটারি ন্যাপকিন পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর এক শিক্ষক ছাত্রীদের উলঙ্গ করে জানার চেষ্টা করেন কোন কোন ছাত্রীর সেই সময় ঋতু চলছে এমনটাই অভিযোগ। এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই পুস্তিকায় 'বিহেভিয়র চেঞ্জ অ্যাক্টিভিটি' শীর্ষক একটি অনুচ্ছেদ রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "ঋতু চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে ছাত্রীদের সচেতন করার ক্ষেত্রে সবসময় এক জন শিক্ষিকাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ছাত্রীদের প্রতি এক্ষেত্রে খুবই সংবেদনশীল ও সাহায্যকারী মানসিকতার প্রকাশ ঘটাও জরুরি এবং ছাত্রীরা যাতে ঋতু চলাকালীন নিয়মিত স্কুলে আসে, সে জন্যও শিক্ষিকাদেরই উৎসাহিত করতে হবে"।
আরও পড়ুন- ভূত চতুর্দশীর মরসুমে ভূত দেখতে হাঁটবেন নাকি ঘোস্ট ওয়াকে?
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/manual.jpg)
জরুরি পরিস্থিতির জন্য স্কুলে স্যানিটারি প্যাড, অতিরিক্ত পোশাক, সাবান, স্বচ্ছ ও জীবাণুমুক্ত জল ও ঋতুকালীন বর্জ্য ফেলার জায়গার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া, স্কুলে মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যক্তিগত ঘর থাকাও দরকার বলে জানানো হয়েছে। ৮৮ পাতার এই পুস্তিকায় উল্লেখ করা প্রতিটি নিয়ম স্কুলগুলি মেনে চলতে বাধ্য বলেও জানানো হয়েছে।
এনসিপিসিআর-এর টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মধুলিকা শর্মা দ্য ইন্ডিয়ান ক্সপ্রেসকে ফোনে জানিয়েছেন, "স্কুলগুলি যাতে শিশু সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত দেশের সব আইন ও বিধি মেনে চলতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে। শিশু সরক্ষার প্রতিটি দিকই আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই পুস্তিকা দেশের সব সরকারি, বেসরকারি এবং অন্যান্য ধরনের স্কুলগুলিকে মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে সব রাজ্যেই এই পুস্তিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে"।
Read the full story in English