মাসে ১০ বার করে পার্লারে দৌড়াচ্ছেন, হাজার রকম বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন, অথচ আপনার ত্বক কিছুতেই সুন্দর হচ্ছে না। আসলে গলদ রয়েছে আপনার খাদ্যতালিকায়। শুষ্ক বা তৈলাক্ত, আপনার ত্বক যেমনই হোক না কেন, ডায়েট প্ল্যানে বদল ঘটালে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবেই। জেনে নিন কোন খাবারগুলো যোগ করবেন আপনার ডায়েটে এবং বাদ দেবেন কোনগুলো।
কী কী রাখবেন ডায়েটে
প্রোটিন
প্রোটিন ত্বকের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাজেই খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকা জরুরি। মুরগির মাংস, ডিম, ব্রোকোলি ইত্যাদি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
ফল এবং শাকসবজি
শাকসবজি আর ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাজেই ডায়েট প্ল্যান করার সময় অর্গানিক শাকসবজি এবং ফল রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়।
হোল গ্রেইন
দানাশস্য জাতীয় খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার, ভিটামিন এবং প্রোটিন থাকার কারণে এই ধরনের খাবার ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য় করে। কাজেই ডায়েটে রাখুন ব্রাউন রাইস, buckwheat(kuttu), বাজরাও ।
বাদাম এবং বীজ
বাদাম যেমন শরীরের জন্য উপকারী, তেমনই উপকারী ত্বকের পক্ষেও। খান আখরোট, কাজুবাদাম, এবং আমন্ড। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যবান ত্বকের জন্য সূর্যমূখী বীজ বা কুমড়োর বীজও রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
তেল
খেয়াল রাখুন, সারাদিনের খাবার যেন একেবারে অয়েল ফ্রি না হয়। কারণ ত্বকের আর্দ্রতার জন্য অন্তত কিছুটা পরিমাণ তেল খাদ্যতালিকায় থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ঘানির খাঁটি সর্ষের তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত তেল যেন শরীরে না যায়।
জল এবং প্রয়োজনীয় পানীয়
প্রচুর পরিমাণে জল খান। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল, গ্রীন টি, হার্বাল টি, ডাবের জল, আমন্ড মিল্ক পান করতে পারেন।
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেবেন যেগুলো
পনির, চিজ, ক্রিম, মাখনের মত ডেয়ারি প্রোডাক্ট খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন ।
ভাত, হোয়াইট ব্রেড, পাস্তার মতন শস্য জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
খেয়াল রাখবেনস প্রসেসড মাংস ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ।
কৃত্রিম চিনি ও সুইটনার এড়িয়ে চলুন।
চা কফি, সোডা পানীয় অ্যালকোহল পান যথাসম্ভব কমানো জরুরি।
যেসমস্ত খাবারে অতিরিক্ত ফ্যাট আছে সেগুলো বাদ দিন দৈনন্দিনের খাদ্য তালিকা থেকে।