যারা এদিক ওদিক একটু ঘুরে টুরে বেরান তাদের অনেকেরই হলিডে ডেস্টিনেশনের তালিকায় গোয়া কিন্তু অন্যতম। এবং তারপর যদি সেটি সানবার্ন ফেস্টিভ্যাল হয় তাহলে আর কোনও কথাই নেই। তবে এবছর কিন্তু এই উৎসব একেবারেই নিষিদ্ধ। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত নিজেই জানিয়েছেন সেই সম্পর্কে।
এমনিতেও অল্প বয়সিদের কাছে নিদারুণ ছুটি কাটানোর জায়গা এটি। আর সানবার্ন মানেই সঙ্গীতের সমাগম। বিখ্যাত সব সঙ্গীতশিল্পী থেকে উচ্ছ্বাসের এক পরিপূর্ণ জায়গা। আলোর রোশনাই সঙ্গেই গান বাজনা সব মিলিয়ে এক জমজমাট আসর। মহামারীতে যাতে আর মানুষের অসুবিধে না হয় সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের কাছে এই উৎসব অনুষ্ঠিত করার অনুমতি নেই। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও মিলেছে স্থগিতাদেশ। কারণেই এবছরের জন্য নিষিদ্ধ এই অনুষ্ঠান। আর এই উৎসবে সারা দেশের প্রচুর মানুষ যেমন উপস্থিত থাকেন তেমনই বিদেশের অনেকেই সমান ভাবে উপভোগ করেন। যাতে অসুস্থতা না বাড়ে সেই ভেবেই এই কাজ।
বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্তও অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা আশায় ছিলেন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে। তারা আবেদনও করেন, কিন্তু শেষে এসেও অনুমতি মিলল না কর্তৃপক্ষের। বছরের মাঝ সময় থেকেই ভারতবর্ষের কোভিড গ্রাফ নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন সকলেই।
তবে বেশ কিছুদিন আগেই সানবার্ন এর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ফেস্টিভ্যালের বার্তা দেওয়া হয়। এমনকি টিকিট কাটার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য পর্যন্ত দেওয়া হয়। বিগত দুই বছরে মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে গেছে, এবং সেই কারণেই আর কোনও উচ্ছাস নেই, আনন্দ নেই। তবে সানবার্ন যখন আছে তখন উৎফুল্লতার কমতি নেই, এমন উদ্দেশ্য নিয়েই এবছরের জন্য যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন সকলেই।
দেশজুড়ে প্রচুর মানুষ আগ্রহে অপেক্ষায় যেমন ছিলেন, তেমনই একঘেয়েমি সরিয়ে নতুন ভাবে বাঁচার এক আলাদরকম মুহূর্ত এটি। তারমধ্যেই গোয়া সরকারের এমন নির্দেশ যথেষ্টই অবাক করার মত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন