Advertisment

জাগ্রত দেবী রত্নমালা, যাঁর কৃপায় সারে দুরারোগ্য ব্যাধি, পূরণ হয় মনস্কামনা

বছরভর এই মন্দিরে দেবীর পুজো হয়।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Devi Ratnamala Temple In Howrah

হাওড়া জেলার শ্যামপুর ২ নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রামে রয়েছে জাগ্রত দেবী রত্নমালার মন্দির। এই মন্দির কয়েকশো বছরের প্রাচীন। কথিত আছে দেবীর আরাধনার জন্য বাগনানের দেউলটি গ্রাম থেকে এক পুরোহিতকে নিয়ে এসেছিলেন বর্ধমানের মহারাজা। তারপর থেকে রতনপুর গ্রামে সেই পুরোহিতের পরিবারই বংশ পরম্পরায় দেবী রত্নমালার পুজো করে চলেছে। এই দেবী মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনি। এমনকী, অনেকে বলেন যে চাঁদ সদাগরের স্মৃতিও জড়িয়ে আছে এই মন্দিরের সঙ্গে।

Advertisment

মন্দিরের বাইরে লাগানো টিভিতে সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে গোটা মন্দিরের ছবিগুলো দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে দিয়ে দেবীকেও দেখা যায়। দেবী রত্নমালার মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে শিবলিঙ্গের মন্দিরও। ভক্তদের দাবি, করোনা বা অন্য কোনও পরিস্থিতিতে কখনও এই মন্দিরে দেবীর পুজো বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন দেবীর পুজো হয়। আর, প্রতিদিন এই মন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ভিড় হয়।

প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় দেবীর সন্ধ্যাআরতি হয়। পুজো হয় ঢাক বাজিয়ে। তার ফলে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এই মন্দির চত্বর থেকে ঢাকের শব্দ শোনা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে এসে দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে বহু দুরারোগ্য রোগ সেরে যায়। শুধু তাই নয়, মন্দিরে এসে দেবীর কাছে প্রার্থনা জানালে মনস্কামনা পূরণ হয়।

এখানে পুজোবাবদ দক্ষিণার তালিকা আছে। সন্দেশ দিয়ে পুজো দিতে গেলে লাগে ১১ টাকা। ফল দিয়ে পুজোর ডালার জন্য লাগে ২১ টাকা। শাঁখা ও শাড়ি দিয়ে পুজো দিতে গেলে লাগে ১৫১ টাকা। গোপাল দিয়ে পুজো দিতে গেলে লাগে ৩০১ টাকা। পাঁঠা পুজো দিতে গেলে লাগে ১,৫০০ টাকা। বাইক পুজো দিতে গেলে লাগে ৪০১ টাকা।

আরও পড়ুন- ক্ষীরগ্রামের সতীপীঠ, বৈশাখের শেষ দিনে যোগাদ্যা ক্ষীরদিঘি থেকে উঠে দর্শন দেন ভক্তদের

বড় গাড়ির পুজো দিতে গেলে লাগে ৬০১ টাকা। ফুল কাড়ানো বাবদ লাগে ৫ টাকা। এই মন্দিরে বিয়েরও ব্যবস্থা আছে। এজন্য যোগাযোগ করতে হবে ৯৮৩৬৬২৩০৪৯ বা ৯৮৭৪৯২৮৯১৬, ৯৮৩৬৮৩০৩৩৪ নম্বরে। কীভাবে এই মন্দিরে যেতে হবে, তা পুজো দেওয়ার জন্য ফোন নম্বরগুলোয় যোগাযোগ করার সময় দূরের ভক্তরা জেনে নেন।

Kali Puja pujo Temple
Advertisment