রাজ্যের জেলাগুলো তো বটেই, খোদ শহর কলকাতাতেও রয়েছে বহু জাগ্রত মন্দির। না-জানার জন্যই ভক্তরা সেই সব মন্দিরগুলোয় যান না। নিজেদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন না। যাঁরা জানেন, তাঁরা অবশ্য নিয়মিতই সেই সব মন্দিরে যোগাযোগ রাখেন। নিজেরা যাতে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে নিয়মিত ওই সব মন্দিরে গিয়ে পুজোপাঠ করেন অথবা করান। এমনই এক মন্দির রয়েছে দমদমের সিঁথিতে। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে শনি ও কালীমাতার মন্দির বলেই পরিচিত।
এই মন্দিরের ঠিকানা হল ৭, পূর্ব সিঁথি রোড, কদমতলা বাজার, কলকাতা ৭০০০৩০। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এবং ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এই মন্দিরে গ্রহরাজ অত্যন্ত জাগ্রত। তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে, সেই প্রার্থনা পূরণ হয়। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলার ১৩৬৬ সালে। প্রথমে এখানে মন্দির বলতে ছিল বেড়ার ঘর। আর সেই বেড়ার ঘরের ওপরে ছিল টালির চালা। ইংরেজির ১৯৫৯ সাল থেকে এই মন্দিরে দেবী কালী-সহ অন্যান্য দেব-দেবীরা পুজো পেয়ে আসছেন।
ক্রমশই এখানে বাড়তে শুরু করে ভক্তদের ভিড়। বিশেষ করে শনি আর মঙ্গলবারে ভক্তরা ঠিক চলে আসেন এখানে। যাঁরা মানত করার পর তাঁদের মানত সফল হয়েছে, সেই সব ব্যক্তিরা এখানে অর্থদান করেছেন। সেই অর্থেই বাংলার ১৪১৭ সালে এই মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। আগের বেড়ার ঘর আর টালির চালার বদলে তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটের মন্দির। যেখানে গর্ভমন্দিরের বেদিতে বিরাজ করছেন দেবী কালী। আর, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শনিদেব। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য বিগ্রহ। যার মধ্যে রয়েছেন দেবী শীতলা।
আরও পড়ুন- আপদ-বিপদ থেকে রক্ষা, মনস্কামনা পূরণ, সবতেই ভক্তদের পরম আশ্রয় কনকদুর্গা
বিশেষ পুজোর দিনগুলোয় এখানে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় হয়। অনেক ভক্তই আছেন, যাঁরা আসছেন দুই বা তিন পুরুষ ধরে। জ্যোতিষীরা বলেন, অনেকের শনির সাড়েসাতির দোষ থাকে। তার ফলে সেই সব ব্যক্তিকে নানারকম বিপাকে পড়তে হয়। সেই সব ভক্তদের নিয়মিত গ্রহরাজের আরাধনার পথও বাতলে দেন জ্যোতিষীরা। সেই পথ অনুসরণ করেও বহু ভক্ত এসে পুজো দিয়ে যান এই মন্দিরে।