সহজ ভাষায় সমস্যার এখন কোনও বয়স নেই। অল্প বয়সেও এমন কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেটি সত্যিই সর্বনাশা। ঠিক তেমনই একটি বিষয় হল অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা। এটি নানা কারণে হতে পারে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়কেই চিহ্নিত করেন বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত চুলের ওপর অত্যাচার? বেশি পরিমাণে হিট কিংবা রাসায়নিক সামগ্রীর ব্যবহার? একেবারেই নয়! তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরও নানা কারণ! যেমন?
আয়ুর্বেদে এই অকালে চুল পেকে যাওয়ার বিষয়টিকে অকাল পালিত্য বলা হয়ে থাকে। এর কারণ অবশ্যই শরীরে দশার বৈষম্য। এবং অনেকেই খেয়াল করবেন এই চুল সাদা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর গোঁড়া দুর্বল হতে থাকে। তারসঙ্গে চুল পড়ার লক্ষণ। আরও কী কী কারণে এই সমস্যা হতে পারে?
- শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে এই সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি ইত্যাদির অভাব থাকলে এই সমস্যা দেখা যায়।
- জেনেটিক, অথবা পরিবারে কারওর এই সমস্যা থাকলে তার থেকেও এটি দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে বাবা মায়ের মধ্যে যদি এই লক্ষণ থাকে তবে অবশ্যই সেটির ভাগ সন্তানের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
- স্ট্রেস থেকেও চুল পাকা এবং চুল ঝরে পড়ার লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়া অনেক চিকিৎসকরাও অটো ইমিউনিটির কারণে কোনও রোগকেও দায়ী করেন এই নির্দিষ্ট বিষয়টির ক্ষেত্রে।
- রোগের মধ্যে যে বিষয়টিকে চিকিৎসকরা চিহ্নিত করেন সেটি হল থাইরয়েড। এর থেকে কিন্তু, শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
কীভাবে এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়?
বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক উপায়ে এই সমস্যা দুর করা যায়। এছাড়াও চুলে বারবার রং করা অথবা ব্লিচ করা কমিয়ে দিতে হবে। বারবার হিট দেওয়া কিংবা হেয়ার স্টাইল করতে করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন < আশ্চর্য হলেও চাঁদের আলোয় রাখা জল, শরীরের পক্ষে খুব কার্যকরী, জানুন >
• নারকেল তেল এবং কারী পাতা :- কারী পাতা চুলের গোঁড়া শক্ত করে। এতে পুষ্টি জোগায়। দুটিকে মেলালে যে ভাল পরিমাণ ভিটামিন বি পাওয়া যায় সেটি চুলের পক্ষে খুব ভাল। নারকেল তেল চুলের নিজস্ব কালো ভাব ধরে রাখতে পারে।
• ক্যাস্টর অয়েল :- এই তেল এমনিতেও চুলের পক্ষে বেশ ভাল। ফলিসিলিস যাতে তাড়াতাড়ি বেরঙ না হয়ে পড়ে তার খেয়াল রাখে। সারা সপ্তাহে একদিন আঙ্গুলের ডগায় এই তেল নিয়ে ভাল করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে তাহলেও অনেকটা রেহাই মেলে।