নতুন বছরের শুরু মানেই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাওয়াদাওয়া এবং অনিয়ম। আর তার সঙ্গেই শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত। কিন্তু এর মাঝেও নিজেকে সুস্থ রাখা আবশ্যিক! নইলে মুশকিলে পড়বেন আপনি। জীবনে চলতে গেলে ট্র্যাক রাখা খুব দরকারি , সেই অনুযায়ী চললেই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। হেলদি ডায়েট আপনার পক্ষে কার্যকরী হতেই পারে, এবং খাবার বিষয়েও বেশ কিছু মোটিভেশন রাখা আপনার জন্য লাভদায়ক হতে পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ মার্ক হেইমন বলছেন, নিজেকে উৎসবে এবং ছুটির মরশুমে সুস্থ রাখতে গেলেও কিন্তু অনিয়ম করা ছাড়াও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত! যেমন ;
দিনের শুরুতেই চাপ নিলে চলবে না। বরং নিজেকে ভাল রাখতে গেলে ছুটির মরশুমে অত্যধিক খাটাখাটনি না করে একলা সময় কাটানো ভাল। স্বল্প সময় ধরে একটু শান্ত হয়ে বসে থাকা ভাল। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে যোগা কিংবা প্রাণায়াম সঙ্গেই নিজেকে মোটিভেটেড রাখা ভাল।
রক্ত সঞ্চালন যাতে সঠিকভাবে হয় সেই কারণেই ব্যস্ততা কমিয়ে সতস্ফুর্ততা রাখা বেশ দরকারি। মন মেজাজ ঠিক না থাকলে তার সবথেকে বেশি প্রভাব কিন্তু শরীরের ওপরেই পরে। এবং সারাদিনে কী খাবার খাবেন সেটিকে সঠিকভাবে বুঝে নেওয়া দরকার।
সারাদিনে আর যাই করুন, অবশ্যই ভাল পরিমাণে জল খাওয়া খুবই দরকার। বিশেষ করে দেখা যায় মানুষ কিন্তু জল খেতে একেবারেই ভুলে যান- তবে জল খাওয়া কিন্তু শরীরের পক্ষে বেজায় প্রয়োজন। মেটাবোলিজম ভাল রাখতে, ব্লাড সার্কুলেশন ভাল করতে, হজমের সুবিধার্থে জল খাওয়া একেবারেই দরকার।
নিজের খাবারের দিকে নজর দিন? শুরুতে যেমন মনে হয়েছিল খাবার সম্পূর্ণ করার পরেও ঠিক সেটা বুঝতে পারছেন কিনা সেটির প্রসঙ্গে ধারণা রাখুন। কারণ খাবার খেয়ে মন থেকে খুশি হাওয়া খুব দরকার। সেটিসফেকশন না থাকলে সেই খাবার আপনাকে অসুস্থ করতে পারে।
সঠিক মাত্রায় ফ্যাট এবং কার্ব যুক্ত খাবার আপনার পক্ষে ভাল। অবশ্যই তার মধ্যে সবজি থাকা বাধ্যতামূলক। ব্লাড সুগার থাকলে খাবারের দিকে অতিরিক্ত নজর দিতে হবে। মিষ্টি আলু, বাদাম আপনার জন্য সবথেকে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
তাড়াহুড়ো করে না, খাবার খাওয়ার সময় একটু ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া সবথেকে ভাল। কী পরিমাণে খাবার আপনি গ্রহণ করছেন তাতে প্রভাব ফেলতে পারে যদি আপনি সঠিক ভাবে খাবার না খান। খাবার শক্তি প্রদান করতে পারে, কিন্তু ঠিক করে চিবিয়ে না খেলে বেজায় মুশকিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন