করোনা আক্রান্ত হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এর কিন্তু কোনও মানে নেই। সম্প্রতি কর্নাটকের রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তেরা বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁদের বেশ কিছু নিয়মনীতি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। কেবল কর্নাটক নয়, অন্যত্রও প্রযোজ্য হতে পারে এই নীতি।
কারা উপসর্গহীন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের কফ, শ্বাসকষ্ট, পেশি-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা, ক্লান্তি, মাথার যন্ত্রণা, গলাজ্বালা, স্বাদ ও গন্ধহীনতা ইত্যদি নেই, তাঁরাই উপসর্গহীন। উপসর্গহীন আক্রান্তদের থেকে কোভিড ছড়াতে পারে, কিন্তু তার সম্ভাবনা প্রবল সর্দিকাশি রয়েছে যাঁদের, তাঁদের তিলনায় কম। উপসর্গহীনদের তেমন কোনও চিকিৎসার দরকার নেই। অন্যদিকে, মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, বাড়িতে থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া।
উপসর্গহীনদের হোম আইসোলেশনের জন্য বাড়িতে কী কী ব্যবস্থা রাখা উচিত?
সর্বক্ষণের জন্য একজন 'কেয়ারগিভার' রাখা জরুরি৷ অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। থাকতে হবে পালস অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মোমিটার, পিপিই।
হোম আইসোলেশন কেবলমাত্র ৫০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গর্ভবতী মহিলাদের কোনওভাবেই হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না।
কোমরবিডিটি রয়েছে, এমন কোভিড আক্রান্তরা কি হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন? যে কোভিড আক্রান্তরা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, থাইরয়েড হলে উপযুক্ত চিকিৎসা সহ হোম আইসোলেশনে থাকা সম্ভব। কিন্তু ক্যান্সার, কিডনির সমস্যা, হার্টের রোগ, এইচআইভি পজিটিভ, যক্ষায় ভুগছেন, এমন কোভিড আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না।
আত্মীয়স্বজন ও পড়শিরা কী করবেন?
হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড আক্রান্তের সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসতে পারবেন না। কিন্তু রোগীকে আনন্দে রাখা, সাহস দেওয়ার কাজটা করতে পারেন আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীরা। অকারণে আতঙ্কিত না হয়ে রোগীর পাশে থাকলে সহজেই জয় করা যাবে কোভিড-১৯ ভাইরাসকে।