গুরু হল সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। হিন্দুধর্মে গুরুকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিবছর আষাঢ় পূর্ণিমার দিনে গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়। যাঁদের থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও না-কোনও সুশিক্ষা আমরা পাই, তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের গুরুস্থানীয়।
এবছর গুরু পূর্ণিমার সময়সীমা:-
এবছর গুরু পূর্ণিমার শুরু:- (আষাঢ় পূর্ণিমা) রবিবার ২ জুলাই ২০২৩, রাত ০৮: ২১টা থেকে।
গুরু পূর্ণিমার শেষ:- (আষাঢ় পূর্ণিমা) সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩, বিকেল ০৫: ০৮টা পর্যন্ত
(সোমবার ৩ই জুলাই সোমবার গুরু পূর্ণিমা পালন করা উচিত।)
গুরু প্রণাম মন্ত্র:━
ওঁ অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্।
তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
গুরুর্বহ্মা গুরুর্বিষ্ণু গুরুর্দেব মহেশ্বরঃ।
গুরু সাক্ষাৎ পরংব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
কখন এবং কীভাবে গুরু পূর্ণিমা উৎসব শুরু হয়েছিল:-
কথিত আছে যে, আষাঢ় পূর্ণিমা দিবসটিকে গুরু পূর্ণিমা উৎসব হিসেবে উদযাপন শুরু করেছিলেন মহর্ষি বেদব্যাসের ৫ জন শিষ্য। হিন্দুধর্মে মহর্ষি বেদব্যাসকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশের রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। বেদব্যাসজি সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। তার পরে তিনি মহাভারত, ১৮টি মহাপুরাণ, ব্রহ্মসূত্র-সহ বহু ধর্মীয় গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। বেদের সীমাও তিনি নির্ধারণ করেছিলেন বলে কথিত আছে। মহর্ষি বেদব্যাসকে ব্যাসদেব, বাদরায়ণ নামেও ডাকা হয়।
আরও পড়ুন- গুরুত্বপূর্ণ শয়নী একাদশী, কেন ভক্তরা এই তিথি পালনে মুখিয়ে থাকেন?
কথিত আছে যে মহর্ষি বেদব্যাস আষাঢ় মাসের এই দিনেই তাঁর শিষ্য ঋষিদের শ্রীভাগবত পুরাণের জ্ঞান দান করেছিলেন। সেই থেকে মহর্ষি বেদব্যাসের ৫ জন শিষ্য এই দিনটিকে গুরুপূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন পালন করা শুরু করেন। সেই দেখাদেখি এই দিনেই গুরুর পুজো করার প্রথা শুরু হয় চতুর্দিকে। তারপর থেকে প্রতিবছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার দিনটিকে গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাস পূর্ণিমা হিসেবে পালন করার রীতি চলে আসছে।