সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন চুল পড়া বন্ধ কী করে করা যায়। যদিও এর উত্তরটি অনেকেরই জানা নেই। সবকিছু করেও কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। শুকনো স্ক্যাল্প এর কারণে এই সমস্যা থেকে যেন মুক্তির পথ একেবারেই নেই। তবে যতই মানুষ চুল ঝরে পড়ার সমস্যাটিকে স্টাইলিং কীট কিংবা কেমিক্যাল মিশ্রিত শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহারের দিকে ইঙ্গিত করেন, এর আসল কারণ কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরীণ গোলমাল হতে পারে।
Advertisment
প্রসঙ্গে ধারণা দিয়েছেন পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ডা ডিকসা ভাবসার। তিনি বলছেন সবকিছুর সঙ্গেই চুল পড়ার সমস্যা জড়িত শরীরের ভেতরের গোলমালের সঙ্গে। যেমন, মেটাবোলিজম ঘাটতি, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, বিভিন্ন ধরনের রোগ কিন্তু চুল ঝড়ার সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে মেনোপোজ কিংবা ড্যানড্রাফ থেকেও চুল পড়ার সমস্যা খুব স্বাভাবিক। কী ধরনের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি থেকে চুল পড়তে পারে?
হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা রক্তে কম থাকেন কিন্তু আপনার চুল পড়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। রক্তে এটি কম মাত্রায় থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলিকে পুষ্টি দিতে পারে না, ফলেই এটির থেকে চুলের গোড়া নড়বড়ে হয়ে যায়।
থাইরয়েড এই সমস্যার মধ্যে আরেকটি। থাইরয়েড থেকেও কিন্তু মানুষের চুল পড়ার সমস্যায় শুধু নয়, মুঠো মুঠো চুল উঠে যেতে পারে বিশেষ করে এই রোগের কারণে যে ধরনের ওষুধ গুলো খাওয়া হয় সেগুলি আরও সাংঘাতিক।
নিউট্রিশন ডেফিসিয়েন্সি আরেকটি সমস্যার মধ্যে পড়ে অর্থাৎ শরীরে যদি ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং বায়োটিন তথা প্রোটিন কম থাকে তবে কিন্তু বেশ সমস্যার। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না থাকলেও আপনি ভুগবেন চুল পড়ার সমস্যায়।
আপনার কী পিসিওএস রয়েছে? তবে সেই রোগের চিকিৎসায় যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেই থেকেও কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
এমনকি যদি রাত্রে সঠিকভাবে ঘুম না হয়, সেই বিষয়টি হালকা করে নেবেন না। সঠিক ভাবে ঘুম না হলে সেরেটোনিন ক্ষরণ হবে না এবং সেই থেকেও চুল পড়ার সমস্যা খুব স্বাভাবিক!
তাহলে নিয়ম করে শরীরে যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনার এই ধরনের সমস্যা থাকে তবে শরীর সুস্থ রাখতে হবে।