বিষয়টি বিজ্ঞানসম্মত কী না সেই পুরনো বিতর্কে না গিয়ে, বিজ্ঞান বলছে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিচারে একটা বড় ভূমিকা পালন করে গ্রাফোলজি। কী এই গ্রাফোলজি? হাতের লেখাই বলে দেবে আপনি চারিত্রিক দিক থেকে কঠিন নাকি নরম, মনোবল ক্ষীণ নাকি যথেষ্ট তাগড়া। এসব আদ্যোপান্ত বলে দিতে পারে আপনার হাতের লেখাই। কুসংস্কার নয়। বিজ্ঞানই বলছে এমন। তাহলে আপনি কেমন? জেনে নিন এখনই।
অক্ষরের আকার
যাঁদের লেখার অক্ষর ছোট হয় তাঁদের যেকোনও বিষয়ে মনোযোগ খুব গভীর হয়। শুধু তাই নয়, মনে করা হয় তাদের জীবনে লক্ষ্য স্থির। পাশাপাশি, যাঁদের হাতের লেখার অক্ষর বড় হয় তাঁদের ভাবনা চিন্তার পরিসর বড়, এবং সৃজনশীল মনের অধিকারি হন তাঁরা।
আরও পড়ুন, প্রাক্তনদের নিয়ে তিক্ততা বেশি মেয়েদেরই, বলছে সমীক্ষা
চাপ প্রয়োগ
যে সকল ব্যক্তি খাতায় পেনের চাপ বেশি দিয়ে লেখেন তাঁরা তুলনামূলক আবেগপ্রবণ হন এবং খুব বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে থাকেন। যাঁরা হালকা চাপ দিয়ে লেখেন তাঁরা আবেগ দ্বারা পরিচালিত হন না, বাস্তবের মুখোমুখি হতে পারেন সহজেই।
হেলানো লেখা
যাঁরা কিছুটা বাঁদিক হেলিয়ে লেখেন তাঁরা একেবারেই বন্ধুত্বপূর্ণ নন, অন্তর্মুখী। যাঁরা ডান দিক হেলিয়ে লেখেন তাঁরা শৈল্পিক এবং যারা সোজা লেখেন তাঁরা সব কিছু যুক্তি দিয়েই বোঝাতে পছন্দ করেন। সামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং তাঁদের ই কিউ খুব বেশি।
আরও পড়ুন, ঘুম নয়, ভালো থাকার জন্য দরকার বিশ্রাম
‘টি’ এর ক্রস
ইংরেজি অক্ষর T (t) লেখার সময় যাঁরা ওপরের দিকে দাগ দেন, মনে করা হয় তাঁরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মবিশ্বাসী। পাশাপাশি নিচের দিকে দাগ দেন যাঁরা তাঁদের লক্ষ্য স্থির নয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তাঁরা।
‘আই’-এর ডট
আপনি কি আই-এর ওপরের ডট সম্পূর্ণ গোল করে দেন? তাহলে আপনার আচরণ শিশুসুলভ, আপনি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি শৈল্পিক। যাঁরা শুধু ছোট একটি ডট দিয়েই ছেড়ে দেন, তাঁরা সাজানো গোছানো জীবনযাপন পছন্দ করেন এবং জটিলতা, সমস্যা এসব ছাড়াই বাঁচতে ভালবাসেন।