Hanuman Jayanti 2024 in Bengali: রামভক্ত ভগবান মহাবীর হনুমান। অষ্টসিদ্ধি থেকে নবসিদ্ধি- সব সাধনার তিনিই দাতা। তিনি চাইলে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে থাকে। শুধু তা-ই নয়, চার যুগেই তিনি বিরাজমান। তিনি অমর। ভক্তদের দাবি, তাঁকে মন দিয়ে ডাকলে দর্শন এবং কৃপা পাওয়া যায়। সেই ভগবান হনুমানের এবার জন্মদিন পড়েছে ২৩ এপ্রিল।
Hanuman Jayanti 2024 Date and Time: ২২ এপ্রিল, সোমবার এবং মঙ্গলবারের সন্ধিক্ষণে রাত ৩.২৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে পূর্ণিমা তিথি। মঙ্গলবার দিনভর পূর্ণিমা থাকার পর, এই তিথি শেষ হবে পরদিন অর্থাৎ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ভোর ৫.১৮ মিনিটে। এই পূর্ণিমা তিথিতেই হনুমান জয়ন্তী।
Hanuman Jayanti 2024 Subh Muhurat: এই তিথি পালনের জন্য ব্রতধারীরা ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নেন। এরপর হনুমানজির ছবি বা বিগ্রহের সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে দেন।
Hanuman Jayanti 2024 Puja Vidhi: ভক্তরা পাঠ করেন হনুমান চালিশা। হনুমানজিকে নিবেদন করুন জুঁইফুল বা জুঁইফুলের তেল এবং সিঁদুর। এছাড়াও নিবেদন করা হয়- পাকা কলা, নারকেল, ছোলা, লাড্ডু, গুড়, মরশুমি ফল, চিনি, ঘি এবং মিষ্টি। তুলসিপাতা এবং পান সুপুরি হনুমানজিকে পুজোর নৈবেদ্যে হিসেবে দান করতে হয়।
Hanuman Jayanti 2024 Mantras: নমো হং হনুমতে নমো। এই মন্ত্রের মাধ্যমে অন্ততপক্ষে ১০৮ বার হনুমানজিকে স্মরণ করতে হয়।
সূর্যপুত্র শনি। তাঁকে সকলে গ্রহরাজ বলেন। প্রায় সকলেই তাঁকে সমীহ করেন। তাঁর আড়াই, বক্রদৃষ্টি এবং সাড়েসাতিকে ভয় পান। কারণ, শনি বাধাকারক গ্রহ। শুভ কাজে দেরি হওয়া। সম্পর্কের অবনতি ঘটা। কর্মক্ষেত্রে, ব্যবসায় ক্ষতি। অপবাদ, কারাদণ্ড, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, রোগভোগ, দুর্ঘটনা, মৃত্যু- এই সব কিছুই শনির কারণে হয়ে থাকে।
কিন্তু, জানেন কি, শনিও কাউকে ভয় পান? কারণ, একাধিকবার শনির সঙ্গে তাঁর টক্কর ঘটেছে। প্রতিবারই সাজা ভোগ করতে হয়েছে শনিকেই। যার জন্যই শনি তাঁকে ভয় পান। সেই তিনি হলেন বজরংবলী হনুমান।
আরও পড়ুন- সিদ্ধযোগী মহাবীর, প্রাণভরে ডাকলে পূরণ হয় মনস্কামনা
কোথায় এবং কীভাবে শনির সঙ্গে বজরংবলীর দেখা হয়েছে, তা একবার বরং জেনে নেওয়া যাক। বজরংবলী হলেন সূর্যের শিষ্য। আর, শনি হলেন সূর্যদেব এবং দেবী ছায়ার ছেলে। নানা কারণে শনির সঙ্গে সূর্যদেবের সম্পর্ক খারাপ হয়। এতে সূর্যদেবেরও ভূমিকা রয়েছে। শনি কুদর্শন হওয়ায় তিনি ছেলেকে দেখতে পারতেন না। পরে ভুল বুঝতে পেরে শনিকে বারবার ডেকে পাঠান সূর্যদেব। কিন্তু, শনি আসতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন- কীভাবে তুষ্ট করবেন বজরংবলীকে, জানেন কি কোথায় আছে হনুমানজির জাগ্রত মন্দির?
শেষে শিষ্য বজরংবলীকে দায়িত্ব দেন সূর্যদেব। শনির প্রখর তেজের বলয় উপেক্ষা করে তাঁর শনিলোকে প্রবেশ করেন বজরংবলী। তিনি শনিদেবকে তাঁর সঙ্গে সূর্যালোকে যাওয়ার আহ্বান জানান। শনি তো হেসেই উড়িয়ে দেন বজরংবলীকে। উলটে এক বানর বিনা অনুমতিতে তাঁর লোকে প্রবেশ করেছে। আর, তাঁকে নিজের সঙ্গে যেতে বলছে, এসব দেখে-শুনে কুপিত হন। কথিত আছে, এরপর শনি সরাসরি আক্রমণ করেন হনুমানকে। কিন্তু, সুবিধা করে উঠতে পারেননি। উলটে, বজরংবলীই তাঁকে বেশ কয়েকবার আছাড় মেরে তুলে নিয়ে যান সূর্যালোকে।