Advertisment

Hanuman Jayanti 2024 Wishes: সিদ্ধযোগী মহাবীর, প্রাণভরে ডাকলে পূরণ হয় মনস্কামনা

Happy Hanuman Jayanti 2024: ভগবান হনুমান চাইলে যে কোনও অভীষ্টকে নিজের আশীর্বাদের মাধ্যমেই পূরণ করতে পারেন। পাশাপাশি, তাঁর উপস্থিতিতে দূর হয়ে যায় যাবতীয় অকল্যাণ। আর, সেই কারণে ভগবান হনুমানের কাছে ভক্তদের প্রার্থনারও শেষ নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Happy Hanuman Jayanti 2024: হনুমান জয়ন্তী

Hanuman Jayanti 2024 Wishes: ভগবান হনুমান জাগ্রত বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। (ছবি- ফেসবুক)

Happy Hanuman Jayanti 2024 Wishes in Bengali: ভগবান হনুমান সিদ্ধযোগী। তিনি সব দেবতাদের আশীর্বাদে পুষ্ট। ভগবান শিবের এক রূপ তিনি। তাঁর ক্ষমতা সীমাহীন। সেই কারণে ভগবান হনুমান চাইলে যে কোনও অভীষ্টকে নিজের আশীর্বাদের মাধ্যমেই পূরণ করতে পারেন। পাশাপাশি, তাঁর উপস্থিতিতে দূর হয়ে যায় যাবতীয় অকল্যাণ। আর, সেই কারণে ভগবান হনুমানের কাছে ভক্তদের প্রার্থনারও শেষ নেই।

Advertisment

Hanuman Jayanti 2024 Wishes in Bengali: ভগবান হনুমানের কাছে অর্থ থেকে বিদ্যা, সুস্বাস্থ্য থেকে বিয়ে। সববয়সি সব ধরনের মানুষ তাঁদের মনোকামনা জানিয়ে থাকেন। সেইসব কামনা পূরণ করার আবেদন নিয়ে ভগবানের চরণে বারবার প্রণাম করেন। নিয়মিত প্রণাম করে। অনেক ভক্তরই দাবি যে, হনুমান দেব কামনা পূরণ করেন।

Hanuman Jayanti 2024 Quotes: হনুমানজীর প্রণাম মন্ত্র: মনোজবং মারুততুল্যবেগং। জিতেন্দ্রিয়ং বুদ্ধিমতাং বরিষ্ঠম্।। বাতাত্মজং বানরযূথমুখ্যং। শ্রীরামদূতং শিরসা নমামি।।

Hanuman Jayanti 2024 Posters: বাড়িতে ভগবান হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়, এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। পঞ্চমুখী হনুমান ভগবানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এতে ভগবানের মুখগুলো ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ শত্রুদের ওপর বিজয়ের আশীর্বাদ দেয়। পশ্চিম দিকে গরুড় মুখ, জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করার আশীর্বাদ করে। উত্তর দিকে ভগবান হনুমানের বরাহ মুখ খ্যাতি এবং শক্তি দেয়। হনুমানজির নৃসিংহ মুখ দক্ষিণমুখী। যা ভয় দূর করে। আকাশের দিকে থাকে ভগবানের ঘোড়া মুখ। যা ভক্তের ইচ্ছা পূরণ করে।

Hanuman Jayanti 2024 Messages: হনুমানজির শিক্ষা আমাদের পথ দেখায়। যেখানে ভগবানের নামকীর্তন হয় না, যেখানে ভগবানের নিন্দা করা হয়, সেই স্থান পরিত্যাগ করা উচিত।

কথিত আছে, শিবভক্ত রাবণ শিবের শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন। সেই বিশেষ শক্তিবলেই তিনি বন্দি করেছিলেন গ্রহদের। রাবণের মৃত্যুবাণ খুঁজতে খুঁজতে হনুমান আবার পৌঁছে যান তাঁর কারাগারে।

সেখানে তিনি সব গ্রহকে বন্দি অবস্থায় দেখতে পান। হনুমান তাঁদের মুক্ত করেন। তখন সব গ্রহরাই হনুমানকে আশীর্বাদ করেন। সেই আশীর্বাদে তাঁরা জানান, হনুমান এবং তাঁর ভক্তদের ওপর কখনও গ্রহদের কুপ্রভাব পড়বে না। পড়লেও ধীরে ধীরে কেটে যাবে।

তৃতীয় কাহিনি হল, কলি কাল শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কলি কালে শনির প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে তাঁর ওপর আশীর্বাদ রয়েছে। বজরংবলী হনুমান অমর। তিনি রামভক্ত। তিনি সব কালেই রয়েছেন। কলিকালেও বজরংবলী রাম নাম জপ করছেন। সেই স্থান দিয়ে শনি যাচ্ছিলেন। কিন্তু, বজরংবলীর নাম জপের প্রভাবে সেই স্থানে এক বলয় তৈরি হয়েছিল। যা শনিদেব অতিক্রম করতে পারছিলেন না।

শনি যাবতীয় অতীত ভুলে প্রথমে বজরংবলীকে কটূক্তি করেন। এরপর বজরংবলীর ধ্যান ভাঙাতে তাঁর হাত ধরে টানাটানি করেন। এতে বজরংবলী শরীরে ছ্যাঁকা অনুভব হয়। তাঁর ধ্যানও ভেঙে যায়। তিনি শনিদেবকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।

শনি তখন বজরংবলীকে পর্যুদস্ত করতে কুদৃষ্টির প্রয়োগ করেন। কিন্তু, তাতে বজরংবলীর কিছুই হয় না। এরপর শনি দিব্যাস্ত্র দিয়ে বজরংবলীকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। পালটা বজরংবলী ল্যাজে বেঁধে শনিদেবকে গাছ এবং পাথরের ওপর বারবার আছাড় মারেন।

আরও পড়ুন- তাঁর কৃপায় অসম্ভবও হয় সম্ভব! ভগবান হনুমানের জন্মদিনে কীভাবে পাবেন তাঁর কৃপা?

শনি তখন জানান, কলিযুগে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। সেখানে বজরংবলীর কোনও জোর খাটবে না। উলটে তিনি বজরংবলীর ওপর ভর করবেন। এই বলে শনি বজরংবলীর ওপর ভর করেন। এতে বজরংবলীর মাথায় চুলকোনির মত অনুভূত হয়। তিনি বিরাট আকারের পাথর তুলে নিয়ে নিজের মাথা ঘষতে শুরু করেন। যাতে শনির শরীরে আঘাত লাগে।

আরও পড়ুন-কীভাবে তুষ্ট করবেন বজরংবলীকে, জানেন কি কোথায় আছে হনুমানজির জাগ্রত মন্দির?

তিনি বজরংবলীর মাথা থেকে নেমে যান। তাঁর ওপর আর আঘাত না-করার জন্য বজরংবলীর কাছে অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, বজরংবলী ও তাঁর ভক্তদের ওপর কখনও শনির প্রভাব খাটবে না। খাটলেও ধীরে ধীরে তা কমে যাবে। একইসঙ্গে শনি জানিয়ে দেন, তিনি বজরংবলীর সঙ্গে থাকবেন। সেই কারণে, বহু মন্দির রয়েছে, যেখানে বজরংবলীর সঙ্গে শনিদেবেরও পুজো হয়।

hanuman jayanti Hanuman Chalisha Hanuman Temple pujo Temple
Advertisment