বেশীরভাগ মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই তারা উত্তর দেবেন রাত্রিবেলা ঠিক করে ঘুম হয়না। এবং সকলের কাছেই কারণ প্রায় অজানা। কেউ অনেক রাত অব্ধি ফোন ঘাঁটেন আবার কেউ চাইলেও ঘুমাতে পারেন না। অনেকেই আবার ওষুধের সাহায্য নিয়ে থাকেন, তাতেও সাময়িক রিলিফ…তবে সারারাত ঘুম না হলে কিন্তু খুব মুশকিল! পরেরদিন কাজ করার ক্ষমতা থাকে না, শরীর ম্যাজম্যাজ করে। তাই নিজেকে চার্জ আপ রাখা খুব দরকার। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসক রঙ্গন চট্টোপাধ্যায়।
Advertisment
তিনি বলছেন, সকলের যে ঘুম আসে না এমন কিন্তু নয়। বরং আবার এমনও কেউ কেউ আছে যারা শান্তির ঘুম ঘুমাতে পারে না, অর্থাৎ বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাদের ক্ষেত্রেও কিন্তু খুব সমস্যা। কেউ কেউ আছেন যাদের মানসিক চাপ আছে বলেই ঘুমাতে পারে না, আবার কেউ কেউ ঘুম হচ্ছে না বলেই উদ্বিগ্ন থাকেন, দুটো সমস্যাই কিন্তু সাংঘাতিক। তাই ঘুমের সঙ্গে আপস করলে একেবারেই চলবে না… এটি ঠিকভাবে না হলে শরীরে আরও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের মাত্রা ঠিক করতে গেলে এই টিপস গুলি মেনে চললে ভাল।
ছুটির দিন থাকলেও একেবারেই অলসামি করলে চলবে না। প্রতিদিন একইসময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতেই হবে। ঘুম থেকে ওঠার পরে অন্তত ৩০ মিনিটের মধ্যে সূর্যের আলোয় নিজেকে উন্মুক্ত করতে হবে। দুপুরের আগেই কফি খাওয়া হলেই ভাল। দিনের বেলা ব্যায়াম করলেই ভাল, রাত্রে করবেন না। এতে শরীর শান্ত হয়না, বরং মুশকিল থাকে। সন্ধ্যের পর থেকে অ্যালকোহল খাওয়া নয়তো কমিয়ে দিন, কিংবা একেবারেই বন্ধ করে দিন। রাতের দিকে অতিরিক্ত নীল আলোয় থাকা বন্ধ করে দিন। ঘুমাতে যাওয়ার দুই তিন ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে। আবেগে ভাসবেন না। সন্ধ্যের পর থেকে কান্নাকাটি করা বন্ধ করুন। অবশ্যই স্ট্রেস কমাতে হবে, নইলে রাত্রে ঘুম আসা খুব চাপের।