রাত্রিবেলা হালকা পাতলা খাবার খাওয়ার অভ্যাস এখন সকলেরই। শরীরের প্রয়োজনে মানুষ এখন অনেক কিছুই করেন। কিন্তু রাত্রিবেলা গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা কিন্তু অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। এর কারণ অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন, ব্লাড সুগার কিংবা মেনোপোজ অথবা অতিরিক্ত নারী রোগের পিল সেবন।
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ আল্কা বিজয়ন বলছেন, যে রাত্রিবেলা ঘুমের মধ্যে জল পান করা খুব স্বাভাবিক একটি লক্ষণ। কিন্তু এটি আসলেই কী শরীরের পক্ষে ভাল? গরমকালে জল পিপাসা পাওয়া খুবই সাধারণ কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় গলা শুকিয়ে আসার বিষয়টি লক্ষণে আসার মত। মাথায় রাখতে হবে যে এটির কারণ দৈহিক দশা অর্থাৎ ভাতা পিত্ত ইমব্যালেন্স থেকেও হতে পারে। অনেক সময় শরীরে অম্বলের ভাব বেড়ে গেলে এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ।
ভাতা পিত্ত সমস্যার কারণে এটি হতেই পারে। এবং এই ভাতা পিত্তর সমস্যা কেন হয়? সন্ধ্যার দিকে অতিরিক্ত শরীর চর্চা করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। রুটি, নাচোস কিংবা চিপস জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় খেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা অত্যধিক শুকনো খাবার আপনার শরীরে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
যারা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন তাদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা যায়। এটি শরীরকে সহজে শুকিয়ে দেয় বিশেষ করে যারা মাংস কিংবা আচার দ্বারা এটি পান করে খুবই বেশি বিক্রিয়া করতে পারে এটি।
আর যে কারণে রাত বিরেতে গলা কাঠের মত শুকিয়ে যেতে পারে তার মধ্যে, অত্যধিক রাত পর্যন্ত কাজ করা, জেগে থাকা ঘুম না আসা। স্ট্রেসের চোটে রাত পর্যন্ত ক্যাফেইন এবং ধূমপান করা একেবারেই ভাল নয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও কফি খাওয়া একদম ভাল নয়।
এছাড়াও শরীরের ভাতা এবং পিত্ত দশার পরিবর্তন ঘটেছে কী ভাবে বুঝবেন?
অতিরিতকো চুল পড়তে থাকবে। এর উজ্জ্বলতা কমে যাবে।
ঘুম হঠাৎ হঠাৎ ভেঙে যাবে। শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন না।
অনেক সময় স্নায়ুর সমস্যা দেখা যায়। ঘুমের মধ্যেও চোখের সামনে আলোর ভাব দেখা যায়, শুয়ে শুয়েই মাথা ঘোরানো দেখা যায়।
কী করলে এই সমস্যা থেকে একটু হলেও রেহাই পাবেন?
রাত্রিবেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন।
পায়ের নিচে আয়ুর্বেদিক তেল দিয়ে মালিশ করুন। এরপরে আর নিচে নামবেন না।
রাত্রিবেলা নিরামিষ আহার গ্রহণ করুন। আমিষ খাওয়া কমিয়ে দিন।