/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/pixa-bay-cover.jpg)
ছবি- পিক্সাবে
'ধূমপানের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, এটি ক্যানসারের কারণ'- এরকম বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ আকছার দেখা যায় রাস্তা ঘাটে, টিভিতে, সিনেমাহলে। লাভের লাভ হচ্ছে কিছু, দিন দিন ওরাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়ছে বই কমছে না। আর ছবিটা সারা বিশ্ব জুড়েই একই রকম। তাই ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ এবং দেশবাসীকে মুক্ত রাখতে খুব শিগগির এক নতুন আইন আনতে চলেছে হাওয়াই দ্বীপ প্রশাসন।
সে দেশের ডেমোক্র্যাটিক দলের এক সাংসদ রিচার্ড ক্রেগান এক অভিনব প্রস্তাব দিয়েছেন। ২০২০তে সে দেশে ধূমপানের ন্যূনতম বয়স ৩০ করে দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন ক্রেগান। এবং ঠিক একই ভাবে ২০২১, ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪-এর নিম্নসীমা যথাক্রমে ৪০, ৫০, ৬০ এবং ১০০ করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে হাওয়াই দ্বীপে।
আরও পড়ুন, যেভাবে বুঝবেন গলায় ক্যান্সার হয়েছে
শর্তাবলি কিন্তু শুধু মাত্র সিগারেটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সিগার, ইলেক্ট্রনিক সিগারেট কিমবা তামাক সেবনের ক্ষেত্রে নিম্নসীমা পরিবর্তনের কথা ভাবেনি প্রশাসন। পেশায় চিকিৎসক ক্রেগান মনে করছেন, দেশে ধূমপানের মারাত্মক অভ্যাস কমানোর জন্য শুধুমাত্র সিগারেটের ওপর কর বসানো অথবা ধূমপানের ফলে শরীরের ওপর পড়া নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে সতর্ক করা যথেষ্ট নয়।
"দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। যত্র তত্র যথেচ্ছ ধূমপানে আমরা অনুমতি দেব না", জানিয়েছেন রিচার্ড। তিনি আরও জানিয়েছেন, ছাত্রাবস্থায় রাত জাগার জন্য নিজেও একসময় ধূমপানের অভ্যেস ধরেছিলেন ক্রেগান।
ধূমপানের ন্যূনতম বয়স ১০০ করার অর্থ যে কী, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা দেশে ১০০ এর ওপরে বয়স এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় হাতে গুণেই বলা যায়। আর তাছাড়া ১০০ বছর বয়সে নতুন করে একটা নেশা ধরার মত মানসিক কিমবা শারীরিক জোর থাকাটাও খুব স্বাভাবিক নয়।