ক্যানসার মারণ রোগের মধ্যে অন্যতম। কারওর টিউমার থেকে ক্যানসার তো কারওর ম্যালিগন্যান্ট, যেটিই হোক না কেন সেটি শরীরের পক্ষে বেজায় ক্ষতিকর। বিশেষ করে এপ্রিল জুড়ে হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার অথবা মাথা এবং ঘাড়ের ক্যানসারকে চিহ্নিত করেই এটির সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। এই ক্যানসার সহজেই মাথা, ঘাড়, গলা এবং সেই সংযুক্ত সর্বত্রই প্রভাব বিস্তার করে।
কী বলছেন চিকিৎসকরা এই প্রসঙ্গে?
চিকিৎসক মণীশ জৈন,( রুবি হল ক্লিনিক ) বলছেন সারা বিশ্বে মানুষ যত ধরনের ক্যানসারে ভোগেন তার মধ্যে সবথেকে বেশি এই ঘাড় এবং মাথার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। ২০২১ সালের গবেষণা অনুযায়ী, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস ইনফরমেটিক্স এবং রিসার্চের রিপোর্ট বলছে ভারতে সেই সংখ্যা আরও বেশি। এমনকি পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা তিন ভাগের এক ভাগ।
কীভাবে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
এটি ছড়িয়ে পড়ার নানা ধরনের বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। যার মধ্যে একটি হল বয়স। এছাড়াও শারীরিক প্রকৃতি কিংবা ভৌগলিক পরিবেশ এছাড়াও, জীবনযাত্রার মানের ওপর বৃদ্ধি করে। সাধারণত পুরুষের শরীরে এটি বেশি দেখা যায়, নারীদেহে এর মাত্রা অনেক কম। ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে এই ক্যানসারের মাত্রা বেশি।
কী কারণে এই ক্যানসার বাসা বাঁধতে পারে?
- ধূমপান :- অত্যধিক মাত্রায় ধূমপান এর অন্যতম কারণ। যাদের একেবারেই লাগাম নেই, তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। আবার রিপোর্ট বলছে ভারতের প্রচুর মানুষ ধূমপান করেন এবং যাদের মধ্যেই এই ক্যানসার রয়েছে তাদের সংখ্যা কম করে ৭০%।
- মদ্যপান :- যারা শুধু মদ্যপান করে তাদের মধ্যে এই মাত্রা অনেক কম কিন্তু একসঙ্গে ধূমপান এবং মদ্যপান করলে তার কিন্তু এই রোগের থেকে ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারে।
- অন্যান্য :- এছাড়াও খারাপ ওরাল হাইজিন, ইমিউনিটির অভাব, ছাড়াও কম পুষ্টির থেকে এই রোগ হতে পারে।
লক্ষণ:
চিকিৎসকদের মতে এই ক্যানসার থেকে গলা, কান এবং মাথা ঘাড় সংক্রান্ত জায়গায় যত ধরনের সমস্যা দেখা যায়।
কানের সমস্যা কিংবা ব্যথা, নাক বন্ধ, গলা এবং কানের পাশ ফুলে যাওয়া। থুতুর সঙ্গে রক্ত, জিভ এবং মাড়িতে লাল ছোপ। মুখে রক্ত, এছাড়াও ঢোক গিলতে কষ্ট এবং শ্বাসকষ্ট।
চিকিৎসা পদ্ধতি :
যদি প্রথম ধাপেই এটিকে ধরা যায় তবে চিকিৎসা করা সম্ভব। শুধুমাত্র যদি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে মুশকিল। পর্যায় অনুযায়ী এটিকে চিকিৎসা করা হয়। ক্যানসারের ছড়িয়ে পড়া এবং টিউমার আছে কিনা সেই দিক খতিয়ে দেখা হয়। কেমোথেরাপি, অপারেশন এবং ইমিউনোথেরাপি দিয়ে এটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়।
যেই শরীরে ইমিউনিটি বেশি তাদের মধ্যে রোগ থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা আরও বেশি। আর যাদের আনুসঙ্গিক রোগ থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকা একটু বেশিই।