একবছরের প্রতীক্ষার পর দিন যেন পলক ফেলতেই কেটে যায়। আজ বিজয়া দশমী, উমার শ্বশুরবাড়ি ফেরার পালা। চারিদিকে মন খারাপের সুর কিন্তু হাসিমুখে মেয়েকে বিদায় দেওয়ার থেকে বেশি আনন্দ আর কিছুতেই নেই। চারিদিকে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলা থেকে বিষাদের মাঝেও উৎসবের আমেজ। আর বিজয়া মানেই নানান ধরনের মিষ্টির বিপুল আয়োজন। বাড়ির স্পেশাল নাড়ু থেকে রসের মিষ্টি এবং সন্দেশ আরও কত কি। এখন বেশ কিছুদিন চলবেই মিষ্টিমুখ পর্ব। কিন্তু এর মাঝে নিজের দাঁতের খেয়াল না রাখলে চলবে না কিন্তু। অতিরিক্ত মিষ্টি ক্যাভেটিস সৃষ্টি করতে পারে এটা নিশ্চই অজানা নেই।
সবসময় মনে রাখবেন, দাঁতের নির্দিষ্ট সময় চেকআপ করানো কিন্তু খুব দরকার। যখন কষ্ট পাবেন শুধু সেই সময় নয় এমনকি নিজে থেকেও এর যত্ন নেওয়া আবশ্যিক। সারাদিনে অন্তত দুবার দাঁত মাজা সঙ্গে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে বেশ ভাল। নিজের শরীরের সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেকেই দাঁতের যত্ন নিতে একেবারেই ভুলে যাই, এটি কিন্তু বড্ড খারাপ। সপ্তাহে একদিন নিম দাঁত অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। বিশেষজ্ঞ দীক্ষা বাত্রা বলেন, বিশেষত উৎসবের মরশুমে যেই সময়ে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ রয়েছে তখন তিনটি সাধারণ উপায়ে একেবারেই এর যত্ন নেওয়া সম্ভব। তবে জেনে নেওয়া যাক!
• যেকোনও কিছু খাবার পরেই ব্রাশ এবং টুথপেস্ট দিয়ে আমরা দাঁত কিন্তু সুস্থ রাখতে পারি। বিশেষত মিষ্টি, ধূমপানের সামগ্রী, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাওয়ার পরে কিন্তু অবশ্যই দাঁত মাজা দরকার। কারণ এর থেকে আপনার মাড়ি ফুলে যাওয়া থেকে এর ভেতরে খাবার জমে থাকা থেকে দাঁতে ব্যথা, শিরশিরানি অনুভূত হতে পারে। কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?
- একটি ব্যাটারি চালিত ব্রাশ
- দাঁতের ডাক্তার দ্বারা প্রস্তাবিত একটি পেস্ট যেটি মাড়ী রক্ষা করবে
- ওয়াটার ফ্লসার দাঁতের ফাঁকে ঢুকে থাকা খাবার বের করে একে সুস্থ রাখে
- মাউথ ওয়াশ যেটি দিয়ে রোজ অবশ্যই কুলকুচি করা দরকার।
• ফ্লুরাইড জাতীয় একটি পেস্ট কিংবা মাউথ ওয়াশ অবশ্যই দরকার। দাঁতের প্রতিরোধমূলক ব্যাবস্থার সঙ্গে সঙ্গে এর সঠিক ঘনত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফ্লোরাইড যুক্ত পেস্ট আপনার দাঁতে ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখার দরুন একটি আবরণ তৈরি করে এবং ক্যালসিয়ামকে ভাঙনের থেকে রক্ষা করে। দাঁতের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রয়োজন তো এটি সঙ্গে রাখুন।
• অনেকেরই দেখা যায় দাঁতে অ্যাসিডের প্রভাবে ছোপ কিংবা এনামেল লিচিং শুরু হয়। খাদ্য দাঁতের ফাঁকে উপস্থিত থাকার কারণেই এটির মাত্রা বাড়তে পারে। এটি দ্বারা সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়ার ঘনত্ব অ্যাসিডিক উপজাতোগুলি দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই যখনই বুঝবেন দাঁতে সমস্যা হচ্ছে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে শুরু করলে কোনওরকম ড্রিলিং ছাড়াই সমস্যা কমানো যেতে পারে। মাঝে মধ্যে পেয়ারা পাতা দিয়ে দাঁত ঘষা খুবই ভাল। এমনকি দাঁত আঙ্গুল দিয়ে আলতো হাতে মাজা উচিত।
উৎসবের মাঝেই হাসিমুখে মিষ্টিমুখে থাকুন, এবং নিজের দাঁত ও সুন্দর হাসিকে চকচকে রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন