ভারতীয় হেঁশেলে তেজপাতার গুরুত্ব অপরিসীম। ভাতের পাতে মুগ ডাল থেকে পায়েস, সবেতেই চাই-ই চাই। তবে হেঁশেলের দরজা ঠেলে তেজপাতা এখন ঢুকে পড়েছে সাজঘরেও। আর তেজপাতার আয়ুর্বেদিক গুণাবলীর কথা কিন্তু অনেকেরই অজানা। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেরকম কিছু গুণ।
১) হজমশক্তি বাড়ায়, ফলে শরীরের বিপাক বা মেটাবলিজমের হারও বৃদ্ধি পায়। ফলে ওজন অনেকটাই কমে। এছাড়াও, পেটফাঁপা, বদহজম, বুকে জ্বালা কমাতে তেজপাতা এক্সপার্ট। অরুচি হলে, রান্নায় তেজপাতা দিন। মুখে স্বাদ ফিরবে।
২) তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা হার্টের সংক্রমণ কমায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। সর্দিকাশি, কফ জমা, ফ্লুতে তেজপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি খান কিংবা তেজপাতা সেদ্ধ করে বেটে, বুকে মালিশ করুন। নিমেষে আরাম পাবেন।
আরও পড়ুন, সারাদিনে কতটা চিনি খাওয়া আপনার শরীরের জন্য নিরাপদ?
৩) ব্যথা কমাতে সিদ্ধহস্ত তেজপাতা। চোট লেগে ফুলে গেলে তেজপাতার তেল মালিশ করুন। মাথাব্যাথা, মাইগ্রেনের ব্যথাতেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে তেজপাতার তেল।
৪) কিডনির প্রদাহ কমাতে তেজপাতা জলে সেদ্ধ করে, সেই জল খান। কিডনিতে পাথর হলেও তেজপাতা সেদ্ধ করা জল কাজে দেয়।
৫) তেজপাতা ত্বকের যত্ন নিতেও সহায়তা করে। চন্দন ও তেজপাতা একসাথে বেটে ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখাবে। গায়ে দুর্গন্ধ থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।