'হায় বাঙালি হায়, আর বাঙালি নাই', শীত পড়লে মরশুমি কমলা, আমলকী ভুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বড় বড় শপিং মল অথবা নামি দামী কেকের দোকানে। মা ঠাকুমাদের বানানো আমলকীর আচার আর মোরোব্বার বয়ামগুলো কথথায় হারাল বলুন তো? শুধুই নস্টালজিয়া নয় কিন্তু, আমলকী খাওয়ার উপকারিতাও অনেক। শীতকালে আমলকী খাওয়ার গুণাগুণ জানেন?
ভিটামিন সি-তে ভরপুর
কমলালেবুর চেয়ে আট গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকীতে। বেদানার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এক গ্লাস জলে দু চামচ আমলকী পাউডার, দু'চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি কাশিতে খুব আরাম হয়। দিনে তিন চারবার খেতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য বিপাকের হার বাড়ে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্দি কাশির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করে। আমলকী, গুড় আর সন্দক লবণ দিয়ে ক্যান্ডি বানিয়েও খাওয়া যায়। দিনে তিন চারবার খাওয়ার পরে খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন, শীত আসছে, শরীরের যত্ন নেবেন কীভাবে?
হজম শক্তি বাড়ায়
পাচন ক্রিয়ায় খুব সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদ হজম এবং অ্যাসিডিটিতেও খুব কাজে দেয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভাববেন না চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের বদলে এগুলো খাওয়া যেতে পারে। বরং ওষুধের পাশাপাশি রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন আমলকী।
আরও পড়ুন, নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে কোন কোন সমস্যা এড়াতে পারবেন, জানেন?
চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে
অসময়ে চুল পেকে যাওয়া আটকাতে পারে আমলকী। এছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুস্কি দূর করতে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে আমলকী।