ডায়েটিশিয়ান ডাঃ মানসী পাদেচিয়ার মত অনুযায়ী,কিছু 'ক্ষতিকারক অভ্যাস' আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। কী সেগুলি? আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।
করোনা পরিস্থিতিতে সকলেই নিজের মতো করে নিজেকে এবং পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখতে চাইছেন। প্রত্যেকের নজর এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে। সুষম খাবার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, কঠোর শরীরচর্চা বা বাড়িতে তৈরি কোনও ‘কাড়া’- যে পদ্ধতিতেই হোক না কেন সবাই চাইছেন তার ইমিউনিটি বাড়িয়ে নিতে।
কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরিশ্রমে জল ঢেলে দিতে পারে !
ডায়েটিশিয়ান ডাঃ মানসী পাদেচিয়া সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখার কথা বলেছেন যা আমাদের ইমিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
তিনি বলছেন “আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক আছে কিনা তা শরীর-ই আমাদেরকে জানিয়ে দেয়। মশার কামড়ে শরীরের কোনও অংশ যখন লাল হয়ে ফুলে গিয়ে চুলকায় সেটি যেমন বোঝায় যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথাযথ কাজ করছে। অন্যদিকে জ্বর বা ঠান্ডা লাগা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ না করার খুব সহজ ইঙ্গিত। বাইরে থেকে জীবাণু যে শরীরে ঢুকছে তা শরীর বুঝতেই পারে না।”
মানুষ কীভাবে বুঝবে যে তার শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম কাজ করছে? তা বোঝাতে গিয়ে তিনি আরও বলছেন, “যখন আপনি সর্দি-জ্বর থেকে সেরে উঠবেন, তখন বুঝতে হবে শরীর আপনার ভিতরে ঢোকা জীবাণুকে চিহ্নিত করে তার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে সেরে ওঠা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।”
<আরও পড়ুন: পূর্ব এশিয়ায় বাড়িতেই ‘চাষ’ হত গাঁজার! নয়া গবেষণায় মারাত্মক তথ্য>
মানসী তাঁর পোস্টে কিছু “ক্ষতিকারক অভ্যাস”-এর কথা বলছেন, যার প্রভাব আমাদের ইমিউনিটির উপর পড়ে।
অপর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের সময় আমাদের শরীর থেকে সাইটোকাইন্স নামে এক ধরনের প্রোটিন উৎপন্ন হয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। এটি একমাত্র ঘুমের সময় তৈরি হয়, ফলে ঘুম পর্যাপ্ত না হলে তার প্রভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পড়ে।
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ
অতিরিক্ত চিন্তার ফলে শরীরে কর্টিকোস্টেরয়েড হরমোন, লিম্ফোসাইটস কে কমিয়ে দেয়। সেই কারণে ইমিউনিটি সিস্টেম প্রভাবিত হয়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল-সবজি না খাওয়া
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাদ্যাভ্যাস জরুরি। শাকসবজি-ফল এসবের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, বিটাক্যারোটিন, বিবিধ ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি-এর অভাব
শরীরে যথাযথ পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে তা বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধক কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কে বাড়ায়।
শরীরচর্চার অভাব
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম রক্তকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, তার ফলে রোগ প্রতিরোধক পদার্থ শরীরের যে অংশে প্রয়োজন সেখানেই ছড়িয়ে যায়।
আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আপনি কোন পদ্ধতি বেছে নেবেন?