হার্ট নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। কথায় বলে মানুষ মন দিয়ে বেশি ভাবে মগজের তুলনায়। আর এতই ভাবনা চিন্তার ফলাফল আজকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়িয়ে তুলছে। এর এখন কোনও বয়স নেই, বেশিরভাগ সময়েই দেখা যাচ্ছে অল্প বয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। তার কারণ হিসেবে অবশ্য অনেকেই উশৃঙ্খল জীবনযাত্রা-কে দায়ী করেন, কিন্তু সমীক্ষা বলছে শীতকালেও নাকি হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।
গবেষণা বলছে শীতকালে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা কমে যাওয়া থেকে বাতাসে শুষ্কতা এগুলির কারণেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। যদিও বা প্রথম অবস্থাতেই ধরা পড়লে এটিকে চিকিৎসা পদ্ধতির দ্বারা আয়ত্বে রাখা সম্ভব অথবা মৃত্যুর হাত থেকে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
তবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? তাদের বক্তব্য, যেহেতু শীতকালের শুরুতেই বুকে ইনফেকশন, অ্যালার্জি এগুলির মাত্রা বাড়তে থাকে সেই থেকেই পালস রেট ক্রমশ বাড়ে, কারণেই ব্লাড প্রেসার বেড়ে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষের হার্ট ফেল করতে পারে। এমনকি নিম্ন তাপমাত্রায় রক্তনালীগুলো ক্রমশই সরু হতে থাকে, তাই সহজভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না সেই থেকেও হতে পারে হৃদরোগ।
সাধারণত হার্ট জনিত যেসকল সমস্যা শীতকালে বেশি দেখা যায় তার মধ্যে,
এই শীতকালীন সময়ে ঠান্ডার কারণে ব্লাড প্রেসার লেভেল ওঠানামা করতে থাকে, তাই সেই থেকেও হার্ট ফেল করতে পারে। নিজের যত্ন নিন, অভ্যন্তরীণভাবে গরম থাকুন।
যারা আগে থেকেই হার্টের রোগী, তাদের এই শীতকালে কুয়াশা এবং বাতাসের জলীয় ধূলিকণা থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। এই কুয়াশা থেকেই ইনফেকশন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। হার্টের রোগীরা এমনিই যেকোনও ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারে তাই এটি সাবধানে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, শীতকালে একেবারেই শরীর থেকে ঘাম হয় না। ফলেই টক্সিন বেরতে পারে না। আপনার শরীরের অতিরিক্ত জল ফুসফুসের কাছে ফ্লুইড গঠন করতে পারে যেটি হৃদপিন্ডকে সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
তাই শীতকালে বেশ কিছু বিষয়ে নিজের জেনে রাখা উচিত,
যারা একেবারেই কুয়াশা সহ্য করতে পারেন না বাইরে বেরবেন না অথবা সবসময় মাস্ক পড়ুন। তবে বাইরে বেরিয়ে দৌড়াদৌড়ি না করাই ভাল।
অল্প বয়সের প্রত্যেকের সারাদিনে অন্তত ২০ মিনিট শরীরচর্চায় ব্যয় করা উচিত।
জল এবং নুন বেশি খাওয়া এইসময় বন্ধ করা উচিত।
অবশ্যই প্রাণায়াম করুন, সকালবেলা কাঁচা হলুদ খাওয়া খুব ভাল।
ভিটামিন ড জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। যতটা পারবেন নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন