বাইরে তাপমাত্রার কারণে বেশিক্ষণ টেকা দায়। হালকা একটু রোদ কমলেও, গরম এবং আদ্রতা কিন্তু এখনও সমান ভাবে গ্রাস করছে মানবদেহকে। জল ছাড়া একবিন্দু থাকা দায়। সঙ্গেই শরীরের অতিরিক্ত জল কমে যাওয়া এবং হিট স্ট্রোক কিংবা অসহ্য ক্লান্তি! অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে তখনই ক্লান্তি আসতে পারে যখন শরীর নিজে থেকেও গরম হয়ে যায়। এমন সময় একটু খেয়াল রাখলেই ভাল। ঠান্ডা জল খাওয়া কিংবা ফলের রস খাওয়া এসময় খুব দরকার। রোগের মাত্রা এবং উপসর্গ ভিন্ন, কীভাবে বুঝবেন?
Advertisment
হিট ক্র্যাম্প আসলে কী?
হিট ক্র্যাম্প কিংবা তাপের কারণে মানুষের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হয়। যেমন, উরু, কাধেঁর একপাশে, পেশীতে এবং অনৈচ্ছিক সংকোচন অনুভূত হয়। এই পরিস্থিতিতে রোগীর বিশ্রাম নেওয়া এবং শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। নুন জল খাওয়ার কথাও বলা হয়ে থাকে। অনেকেই ফলের রস খাওয়ার কথা বলেন।
হিট এক্সহাউসন কিংবা শরীরে তাপপ্রবাহের অর্থ কী?
চিকিৎসার ভাষায় একে মানবদেহে তাপপ্রবাহের নিশ্বাস বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসার গাফিলতি হলে কিন্তু পরবর্তীতে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। যে ধরনের লক্ষণগুলি দেখা যায়, মাথাব্যথা, বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা কিংবা পেশীতে আঘাত ব্যথা দেখা যায়।
শরীরের যত্ন নিতে গেলে এই সময় গরম থেকে সরে যাওয়া ভাল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ মিনিটের মধ্যে যদি রোগী চিকিৎসায় সাড়া না দেয় তবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে তার দেহকে ঠান্ডা করতেই হবে।
হিট স্ট্রোক আসলে কী?
এই প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোক খুব স্বাভাবিক বিষয়। বয়স না মেনেই এই ধাক্কা যে কেউ খেতেই পারেন। ঠিক তেমনই, নার্ভাস সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। যার থেকে শরীরের তাপমাত্রা ৪০° এর বেশি হয়ে যায়। খিঁচুনি, এমনকি মানুষ কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন।
এইসময় একটু শীতল স্থানে বসানো খুব ভাল। দেহের তাপমাত্রা ঠান্ডা জল দিয়ে আয়ত্বে আনতে হয়। অল্প অল্প জল খাওয়ানো উচিত। হাতের কাছে সাইট্রাস ফল থাকলে সেটিও খাওয়ানো দরকার।