ওজন কমানো নিয়ে কেলেঙ্কারি দশা চারিদিকে। কীভাবে ওজন কমালে তাড়াতাড়ি হবে এই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। বা আদৌ কমবে কিনা সেই নিয়েও বেজায় সন্দেহ। কত কিছুই না মানুষ প্রতিনিয়ত করে চলেছেন শুধু একটু ওজন কমানোর চেষ্টায়। খাওয়া দাওয়ায় বিরতি থেকে নিত্যনতুন প্রচেষ্টার অন্ত নেই একেবারেই।
Advertisment
অনেকেই বলেন যে ওজন কমানোর বিষয়টি বেজায় কষ্টকর। একেবারেই লক্ষ্য না থাকলে সম্ভব নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ আজরা খান বলছেন খুব কম সময়েই ওজন কমানো কিন্তু সম্ভব। তার মধ্যেই নিজের পছন্দ মত খাওয়াদাওয়া এমনকি তথাকথিত ভাষায় যাকে চিট ডে বলা হয় সেটিও কিন্তু বেশ দারুণ ভাবেই বহাল রাখা যায়। কীভাবে?
আজরা বলেন, এমন তিনটি টিপস মেনে চলতে হবে যেগুলি আপনাকে নিজস্ব ওজনে পৌঁছাতে যেমন সাহায্য করবে তেমনই মনের আনন্দে খাওয়াদাওয়া তার মধ্যেই থাকতে পারে। ওজন কমানো নিয়ে ঝুট ঝামেলা একেবারেই থাকবে না। ক্যালোরির মাত্রা কম থাকলে বা খুব সহজ উপায়ে খাবার খেলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা থাকবে না। কার্ব এবং ক্যালোরি সঠিক মাত্রায় শরীরে থাকাও দরকারি।
ডায়েট ছাড়াই আজরা বলেন, ওয়েইট ট্রেনিং করা খুব দরকার। কারণ এটি মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলেই শরীরের মাসেল গ্রোথ হরমোনের প্রভাব বাড়তে থাকে এবং চর্বির পরিমাণ কমতে থাকে।
দ্বিতীয়, অল্প সময়ের জন্য উপোস থাকা কিংবা খাবার না খাওয়া কিন্তু শরীরের পক্ষে ভাল। বেশ ভাল পরিমাণে কিছু খাবার খাওয়ার পর অথবা হেলদি খাবারের পর হজম হতে দিতে হয় সঙ্গেই রাখতে হয় বেশ কিছু সময়ের বিরতি। এতে ক্ষতি কিছুই হয়না বরং ডিটক্স হওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। এবং শরীরের সারকেডিয়ান রিদম ভাল থাকে, সঠিক সময়ে ঘুম, খাবার এগুলি বজায় থাকে।
তৃতীয়, প্রতিদিনের খাবারে এক কিলোগ্রাম ওজন প্রতি ১ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া খুব জরুরি। এতে দীর্ঘসময় পেট ভর্তি থাকে। ফলেই বেশি পরিমাণে খাবার খেতে হয় না। খিদে কম পেলে আপনারই ভাল।
সুতরাং আর সমস্যা নেই, এবার মন খুলে খাবার উপভোগ আর ওজন কমানো দুইই চলতে থাকুক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন