খাবার দাবারে গাফিলতি, অনিয়নিত এবং অত্যধিক মাত্রায় তেল ঝাল যুক্ত খাবার থেকে কিন্তু ফ্যাটি লিভার সংক্রান্ত নানান সমস্যা হতে পারে। এতে লিভারের চর্বি সহজেই বেড়ে যায়, কোনরকম খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না এবং ওজন বেড়ে যায় এ সঙ্গে আরও কত কি!
Advertisment
আসলে ফ্যাটি লিভার কি?
এটির অর্থ হল, যখন লিভার সংক্রান্ত কোষগুলি আস্তে আস্তে নির্জীব এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সহজেই কাজ করে না। ফলত উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ টু ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম এগুলি দেখা দেয়।
শারীরিক কিছু কিছু নিস্তেজতা যেমন অলসতা, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব এগুলি খুব স্বাভাবিক বিষয়। অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা বলে থাকেন এই সমস্যার পর দৌড়াদৌড়ি বেশি করতে। ওজন সঠিক রাখতে এবং খাবার খুব ভেবে চিন্তা করেই খাওয়া উচিত।
পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজা এই প্রসঙ্গেই বলেন, বেশ কিছু ফল এবং খাদ্যসামগ্রী কিন্তু ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং তার সঙ্গে বেশ কিছু অভ্যাস বদলানো প্রয়োজন।
• বাতাবিলেবু এর মধ্যে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট নরেঞ্জেনিন, এবং নরিংইন দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং লিভারে ফাইব্রোসিস উৎপাদন করে একে রক্ষা করে। তাই এটি কিন্তু ভীষণ উপযোগী।
• মিল্ক থিসল হল এমন একটি গোপন সূত্র যেটি ভীষণ মাত্রায় লিভারে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলেই ইমিউনিটি বেড়ে যায়। তার সঙ্গেই এর কার্যকরিতা ক্রমশই বাড়ে। লিভারের কোষগুলিকে ক্রমশই উজ্জীবিত করে এবং রক্ষা করে।
• নেসটাইল সিস্টিনে অথবা NAC, একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা লিভারের প্রয়োজনীয় গ্লুতথিয়নের সরবরাহ করে এবং পরিবেশগত বিষাক্ততা নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। প্রস্তাবিত ডোজ সাধারনত সারাদিনে ৬০০ থেকে ১৮০০ এনএসি।
• লেবু আদার রস লিভারের জন্য বেশ পুষ্টিকর। এবং ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে। যেটি লিভারকে বেশ ভালভাবেই রক্ষা করে।
তার সঙ্গে ধূমপান, মদ্যপান এবং সবরকম নেশার থেকে দূরীকরণ প্রয়োজন। তেলে ভাজা হোক কিংবা অতিরিক্ত ঝাল কিছু এগুলি কিন্তু একেবারেই খাবেন না।
এই খাবারগুলো ছাড়াও নানান রকমের ডাল, শসা, এগুলি কিন্তু ফ্যাটি লিভারে দারুন কাজ দেয়। যদিও বা বেশি বাড়াবাড়ি হওয়ার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন