ওদের বাড়ির পোষ্য নয়, নিজের সন্তানই বলা যায়। একদম ছোট্ট বয়সে গুটি গুটি পায়ে ধীরে ধীরে কখন যে এত কাছের হয়ে যায়, আপন বলতেও ওদের কথাই মনে পড়ে। নিজের শিশুর মতই আগলে রাখেন সকলে। ওদের ভাল মন্দ থেকে খাবার দাবার সবকিছুই বেশ নজরে রাখতে হয়। এদিক ওদিক দৌড়ালে ব্যথা পেল কিনা, শরীরে অসুবিধে হচ্ছে কিনা এসবের দিকে দৃষ্টি কিন্তু দিতেই হয়।
ডা. শান্তনু কলম্বি বলেন, পুষ্টিকর এবং তাজা খবর কিন্তু ওদের পশম চকচকে রাখে এবং শক্তিশালী করে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বেশ সক্রিয় করে তোলে। তবে ওদের খাবারের বিষয়ে গুটি কয়েক দিক বিবেচনা করা দরকার এবং সেই সম্পর্কে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনার সারমেয় এবং তার বয়স থেকে প্রজাতি, ওদের আকারের ওপর ভিত্তি করেই করা উচিত। তার সঙ্গে আপনাকেই বুঝে নিতে হবে কোন খাবারটি ওদের জন্য সঠিক এবং কার্যকর। প্রয়োজনে একজন পশু চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তবে আপনার শিশুটির খাবারের বিষয়ে যে দিকগুলি নির্বাচন করে তবেই পা বাড়াবেন ;
প্রথম, আপনার পোষ্য প্রাণীর প্রজাতি, বয়স, এমনকি কতটা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সুবিধা আছে ওর, কোন কোন ক্ষেত্রে অ্যালার্জি রয়েছে এই দিক গুলি বিবেচনা করতে হবে। বয়স এবং প্রজাতি ভেদে খাবারের বিবরণ আলাদা, এমনকি নির্মাতারাও সেই ভেবেই খাদ্য তৈরি করেন। তুলনামূলক ভাবে বয়স্ক কুকুরদের তুলনায় কুকুরছানা দের ক্যালরি গ্রহণের ভূমিকা বেশি। ওদের বেশি করে দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ানো খুব দরকার। নিয়মিত কী গুনমানের খাওয়ার খাওয়ানো উচিত সেইগুলি পরামর্শ করেই দেওয়া উচিত।
বাড়িতে বানানো খাবার নিজের পোষ্যকে খাওয়াতে অনেকেই পছন্দ করেন বটে কিন্তু তারপরেও যে বিষয়ে খেয়াল্ রাখবেন প্রিজার্ভ খাবার না খাওয়ানো খুব ভাল। কিন্তু তাই বলে মানুষের ন্যায় বেশি মশলা যুক্ত খাবার খাওয়াবেন না, এতে ওরা অসুস্থ হতে পারে। চেষ্টা করবেন তেল ছাড়া, সিদ্ধ খাবার কোনওরকম মশলা পাতি ছাড়াই। পুষ্টিকর অবশ্যই হতে হবে তার সঙ্গে ডায়েটের সামঞ্জস্য যেন থাকে। চিকেন এবং দুধ ভাত ওদের জন্য দারুন অপশন।
প্যাকেট ফুড ওদের যতটা পারবেন কম দিন। শুকনো খাবার কিংবা চিউস অথবা সেরেল জাতীয় খাবার ওদের দিতে পারেন। এতে ওরা প্রচুর পুষ্টিও পাবে এবং আপনার নিজেরও সময় বাঁচবে। এবং অবশ্যই বাড়িতে রান্না করা খাবারের সঙ্গে ওদের এগুলি দেওয়ার চেষ্টা করুন তবে দৈহিক ভারসাম্য বজায় থাকবে ওদের।
তিনি আরেকটি বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেন, যে প্যাকেট ফুড হোক কিংবা দোকানের খাবার প্যাকেটের ওপরে কী উপাদান এবং রাসায়নিক সামগ্রী আদতে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি দেখে নিতে হবে। এমন কিছু ওদের খাওয়াবেন না যেটি ওদের শরীর খারাপ করে দেয়। ওদের মাংসের প্রয়োজন অবধারিত আছে। তাই নিয়ম মাফিক সেটি ওদের দেবেনই।
সুতরাং, আপনার শিশু পোষ্য টির শরীরে এবং সুস্বাস্থ্যের দিকে আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন