গোটা একবছরের বেশি সময় ধরেই মানুষ নিজের বাড়িতে গৃহবন্দী। এবং এর থেকে বেড়িয়ে আসার উপায় এখন নেই বললেই চলে। দিনের পর দিন বাড়ছে করোনা উদ্বেগ। একঘেয়ে বাড়িতে বসে থাকতে থাকতেও ওষ্ঠাগত জীবনযাত্রা। কিন্তু এর কারণে ক্রমশই বাড়ছে শারীরিক অসুস্থতা। পেশীর ব্যথা সঙ্গে মাথা এবং পিঠের যন্ত্রণা, চোখের পাওয়ার তো আছেই।
অতিরিক্ত বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য মানুষ মানসিক অশান্তির শিকার। প্রতিনিয়ত একই কাজ এবং চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থেকেই নানানভাবে মেজাজ অনুভব করছেন অনেকেই। গবেষণা বলছে প্রায় ৪০% মানুষ ভুগছেন পিঠ এবং কোমরের ব্যথায় আর ২৫% মানুষ ভুগছেন মাথা যন্ত্রণা এবং ঘাড়ের ব্যথায়।
কি কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?
প্রথমত, কারুর সাথেই দেখা সাক্ষাৎ নেই। সকলের সঙ্গে না রয়েছে আড্ডা মারার সুখ না রয়েছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার সুযোগ। নিঃসঙ্গতা গ্রাস করছে অনেককেই। যথারীতি মানসিক শান্তি একদমই নেই। সকলেরই ছুটির প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া। সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে সময়ের জ্ঞান একেবারেই থাকে না। খাওয়াদাওয়ার গ্যাপ যেমন পড়ছে তেমনই অনিয়ম হচ্ছেও দারুন। অভ্যেস পরিবর্তন করা খুব দরকার।
অপর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু শরীর অসুস্থ হ্ওয়ার আরেক কারণ। অনেক রাত অবধি জেগে থাকা এবং সিরিজ কিংবা ড্রামা দেখা একটু হলেও কম করা উচিত।
সবশেষে, শরীর চলাচল প্রায় বন্ধ। প্রতিদিনের দৌড়াদৌড়ি এখন আর হয় না। বাস-ট্রাম ধরার চিন্তা নেই। সারাদিনে শরীরচর্চা আর একদমই হয় না। সেই কারণেই শরীরের নানান অংশের ব্যথা ক্রমশই বাড়ছে।
সুস্থ থাকবেন কিভাবে?
• এক নাগাড়ে কাজ করবেন না। মাঝে মাঝেই উঠুন একটু হাত পা নাড়ানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে সকালে উঠে অল্প সময় যোগার সান্নিধ্যে আসতে পারেন। হালকা গান শুনতে পারেন।
• গল্পের বই খুব ভাল অপশন মন ভাল রাখতে। মাঝে মাঝে গার্ডেনিং করতে পারেন। সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকা দরকারি। মন হালকা থাকবে। ইচ্ছে হলে পছন্দ মত রান্না করুন।
আরও পড়ুন < ব্রেকফাস্টে স্বাস্থ্যকর খান, সারাদিন চাঙ্গা থাকুন >
• রাত্রিবেলা সময় মত ঘুমনোর চেষ্টা করুন। বেশি রাত অবধি জাগা একদম ঠিক নয়। একটা ছোট্ট টিপস বলি, ঘর অন্ধকার করে তবেই শোবেন।
• খেলাধুলায় অংশ নিন। বাড়ির ছাদে হোক কিংবা ভেতরে ক্যারাম হোক বা ফুটবল এটুকু কিন্তু সময় বের করা দরকার।
• স্ন্যাকস ভেবে চিনতে খান। সবসময় যা খুশি খাবেন না। এনার্জির প্রয়োজন হলে হাই প্রোটিন কিছু খান, যেমন সেদ্ধ ডিম কিংবা বাদাম এবং ইয়োগার্ট জাতীয় কিছু।
• সপ্তাহে একটি দিন অন্তত বিরতি নিন। মগজাস্ত্র ঠান্ডা হওয়া খুব দরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন