উৎসব মুখর পরিবেশ চারিদিকে। এখন বেশ ফুরফুরে আমেজ এবং সেই সঙ্গেই সাজগোজ না করলে উৎসব যেন মনেই হয় না। আর যতই মেকআপ করুন না কেন, স্কিন ভেতর থেকে ভাল না হলে কিন্তু বাইরে এই ছাপ বোঝা যাবেই। মোটামুটি ভাল কিছু ধরনের খাবার খেলে লিভার যেমন ভাল থাকে, মনও ভাল থাকে এবং তার সঙ্গেই স্কিনের তো বাহ বাহ প্রশংসা না করে একেবারেই উপায় নেই।
কিন্তু খাবারের প্রসঙ্গে বেশ সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ডায়েটে বেশকিছু অন্তর্ভুক্তি যেমন দরকার তেমনই দরকার বেশ কিছুকে নিজস্ব জীবন থেকে বের করা। বিশেষজ্ঞ পল্লবী মল্লিক বলেন, সাধারণ জীবনে ব্যালেন্স ডায়েট রাখা খুব দরকারি। তার সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজন ভাল খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, নিত্যদিনের শরীর পরিচালনা, এবং স্ট্রেস আয়ত্বে রাখা। যখন ভাল ত্বকের প্রশ্ন আদে তখন অবশ্যই দরকার প্রচুর পরিমাণে যাতে জল পান করা হয়।
আর শরীরের জন্য এমন খাদ্য প্রয়োজন, যাতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ কম করতে সহায়ক কিছু থাকে। নয়ত শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় বজ্জ্য নিঃসৃত হওয়া সম্ভব নয়। তাই গ্লোয়িং স্কিনের ইচ্ছে থাকলে, এই খাবারগুলি কিন্তু খেতেই হবে।
ওমেগা থ্রি স্কিনের জন্য বেশ ভাল। এবং তার সঙ্গে ইউভি রশ্মির প্রকোপ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ধূমপান এবং মদ্যপানের ইফেক্ট থেকেও এটি সাহায্য করতে পারে। স্কিনের ট্যান এমনকি রিংকেলস এগুলি দুর করতে সহায়ক। তাই ওয়াল নাট, ফ্যাটি মাছ, চীয়া বীজ এগুলি খেতেই পারেন।
ভিটামিন ই, স্কিনের জৌলুস ফেরাতে ভীষণ কাজ দেয়। এছাড়াও ইউভি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। নিম, আমলকী এবং আলমন্ড থেকে এটি পেতে পারেন।
স্কিনের ইমিউন সিস্টেমের অবলুপ্তি তেও কিন্তু জেল্লা হারিয়ে যায়। তাই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, খাবার খেতেই পারেন। সেদ্ধ পালং শাক, মিষ্টি আলু, গাজর এগুলি খেলে সহজেই ত্বকের জেল্লা ফিরে পাবেন। তার সঙ্গে স্কিনের ইমিউনিটি বাড়বে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, হলুদ এমনকি গোলমরিচ বাদ দেবেন না। এই দুটি আপনার ত্বকের নানান পরিসরে নিদারুণ কাজ দেবে। তাই এগুলিকে বাদ দিলে একেবারেই চলবে না। সঙ্গে অবশ্যই ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মন এবং মানসিক দুই দিকেই খেয়াল রাখতে হবে। ভাজাভুজি খাওয়া একেবারেই চলবে না। আর হাইড্রেশেন কিন্তু বজায় রাখতে হবে।
সুতরাং, শুধু প্রসাধনী নয় একেবারেই। মন এবং শরীর থেকে ভাল থাকুন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন