পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম।ছোট করে বললে পিসিওএস। ভারতীয় মহিলাদের কাছে এখন খুব চেনা একটা শব্দ। দেশের মহিলাদের অধিকাংশই কখনও না কখনও জরায়ুতে সিস্টের সমস্যায় ভুগেছেন। উঠতি কিশোরী থেকে তরুণী, ঘরে ঘরে এখন পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। কিন্তু তার চেয়েও বড় ব্যাপার, আপনার জীবনযাপনে আনতে হবে কিছু বদল। সেগুলো কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রাখলে খুব সহজেই বুঝবেন আপনি।
আজকাল পিসিওএস এর প্রথম ধাপ ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই ওষুধ না দিয়ে শুধু লাইফ স্টাইল বদলে ফেলার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন, গর্ভাবস্থার পর প্রথম পিরিয়ড, এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন
কোন কোন বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে জেনে নিন
খাদ্যাভ্যাসে বদল আনুন
ঘরের খাবারের ওপর থাকার চেষ্টা করুন। সব্জি, ফল, প্রচুর পরিমাণে জল, আর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বাইরের জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার, মিষ্টি, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি করে খান।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা পিসিওএস এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী খাচ্ছেন সারা দিনে, তার হিসেব রাখুন। কতটা ক্যালোরি ইনপুট হচ্ছে খেয়াল রাখুন। রান্নায় নুন এবং চিনির পরিমাণ কমান, দিনে ২ থেকে ৩ বার গ্রিন টি খেতে পারেন। প্রচুর জল খান। জল শরীরকে ডিটক্স করে, অতিরিক্ত মেদ শরীর থেকে বাদ দিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন, মেদ কমানোর চটজলদি উপায়
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
কাজের চাপে ভারী শরীরচর্চা করা সম্ভব না হলে দিনে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ভাঙুন, আর সকালে সামান্য ফ্রি হ্যান্ড করুন। সাঁতার কিমবা সাইক্লিং করলে ভালো কাজ দেবে।
হেলদি জীবনযাপন করুন
ভালো খান, সময় মত বিশ্রাম নিন, বই পড়ুন, গান শুনুন, দিনের শেষে ভালো ঘুমোন। খুব রাত জাগবেন না। রাতের খাওয়ার আগে খান, খাবার খাওয়ার অন্তত দুঘণ্টা পর ঘুমোবেন। শরীর এবং মন চনমনে রাখুন। মনে রাখবেন পিসিওএস এর সমস্যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় হয়। আপনি, ভালো থাকলে, সুস্থ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই হরমোন নিঃসরণ ঠিকঠাক হবে।