/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/honey.jpg)
প্রতীকী ছবি
সারাদিনে মধু নিজের খাবারে ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। সকালের লেবু জল হোক কিংবা ফ্রুট স্যালাড মধু কিন্তু থাকবেই। অনেক সময় কাঁচা হলুদ মধুতে মিশিয়েও অনেকেই খেয়ে থাকেন। যদিও বা এখন মধু রাসায়নিক পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হয়, এর পুষ্টি অনেকটা হ্রাস পায় তারপরেও মধু সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি অবশ্যই জানা প্রয়োজন।
সবরকম ভাবে মধু খাওয়া একেবারেই চলে না। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু উপাদেয়র সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে সেটি কোনও কাজে লাগে না বরং আরও ক্ষতি করতে পারে। পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ পারুল শর্মা বলছেন, মধুর সম্পর্কে সমস্ত রকমের ভুল তথ্য অনেক বিজ্ঞাপন তুলে ধরে তবে সেগুলি শুধরে নেওয়া দরকার।
কী কী ভাবে মধু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়?
প্রথমত, গরম জলে মধু মিশিয়ে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে মধুর যাবতীয় গুণাবলী নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, গরম কোনও পানীয় এমনকি খাবারের মধ্যে একেবারেই মধু মেশানো উচিত নয়। তার সঙ্গেই ঘিয়ের সঙ্গে সমান পরিমাণে মধু মেশানো উচিত নয়।
কিন্তু কেন?
আয়ুর্বেদ বলছে মধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম রয়েছে। এবং সেটিকে অবশ্যই মেনে চলা উচিত। বিশেষ করে, মধুর শুধু মিষ্টভাব নয় বরং এটির নিজস্ব থেরাপিয়েটিক ভাব রয়েছে।
গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করলে, এটি শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। HMF নামক একটি টক্সিন এতমাত্রায় বেড়ে যায় যে তখন খাবার হজম হতে চায় না, বরং এতে পচনের সমস্যা দেখা যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়।
ঘিয়ের সঙ্গে সমান পরিমাণ মধু খেলে, শরীরে মারাত্মক হজমের সমস্যা দেখা যায়। কারণ ঘি শীতল খাবার এবং মধু গরম খাবার। দুই একসঙ্গে মিলে গেলে খুবই সমস্যা হয়। বিশেষ করে হজম হতে চায় না। এমনকি দুধের সঙ্গে মিলিয়ে খেলেও কিন্তু একই সমস্যা দেখা যায়।
মধু গরমকালে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়! এই সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে এদিকে হজমের আগুন কম থাকে। সুতরাং এই বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার, যাতে শরীর ঠান্ডাও থাকে এবং খাদ্য অগ্নি কমে না যায়।
ডায়াবেটিস থাকলেও মধু একেবারেই চলে না! কারণ এটি গ্লুকোজ লেভেল নিয়ে সমস্যা ঘটাতে পারে সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই মধু খান।