দিনটা ৩৬ ঘণ্টা হলে ভালো হয় তো আপনার? ঘরে-বাইরে নানা দিক সামলাতে সামলাতে নিঃশ্বাস টুকু ফেলার জো নেই? উদয়াস্ত খেটে জীবনটা কেটে যাচ্ছে কোনও রকমে, এর মধ্যে মেদ ঝরানোর জন্য আলাদা সময় কই? অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর যাপন আধুনিক জীবনে ডেকে এনেছে নানা লাইফস্টাইল ডিজিজ। স্থূলতা বা ওবেসিটি সেসবের মধ্যে অন্যতম। সময়ের অভাবে যারা নিয়মিত শরীরচর্চার সময় পান না, তাঁদের জন্য রইল মেদ কমানোর সহজ টিপস।
দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে দরকার স্বাস্থ্যকর বা ব্যালান্সড ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনপ্রণালী। তবে ওজন কমাতে মধু ও লেবু—এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদানও বেশ সহায়ক বা কার্যকর।
উপকারিতা
মধু ও লেবুর মিশ্রণের পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে, শরীরের বিশুদ্ধিকরণ ঘটায় ।
মেটাবলিজম বা হজমশক্তি বাড়ায় এই পানীয়, ফলে ওজন কমে।
ঠাণ্ডা লাগলে এই পানীয় পান করলে শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করে এবং গলা ব্যথায় ভালো কাজ করে।
দেহের শক্তি বাড়ায়, আলস্য কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এই পানীয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আরও পড়ুন, খালি ক্লান্ত লাগে? দিনভর চনমনে থাকতে কী খাবেন?
প্রণালী
এক গ্লাস হালকা গরম জল, আধ চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু। গরম জলে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন এই পানীয়। চাইলে এর সঙ্গে গ্রিন টিও মেশাতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি পান করা যেতে পারে। এর কিছুক্ষণ পর প্রাতরাশ করবেন।
সতর্কতা
আগে জল গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু বা লেবু মেশানো জল কখনোই গরম করতে যাবেন না।
জল গরম না করে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হতে পারে। ওজনও কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে।
যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু অ্যাসিডিক।
লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই পানীয় পানের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।