Alia Bhatt Weight Loss Diet And Exercise: বিটাউনের গ্ল্যাম ডিভাদের গ্ল্যামারস লুক আর টোনড ফিগারে চোখ আটকে যায় আমজনতার। ওজন যদি সামান্যও বেশি হয় তাহলে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে সিনেমা। পর্দায় নিজেকে একশো শতাংশ পারফেক্ট লুক দিতে অনেক কসরত করতে হয় রূপোলি দুনিয়ার তারকাদের। মহেশ কন্যা আলিয়া ভাটের রয়েছে সেই অভিজ্ঞতা। করণ জোহরের 'স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার' দিয়ে বলিউডে হাতেখড়ি আলিয়ার। সানায়া-র চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে ২০ কেজি ওজন কমানোর পরামর্শ দেন করণ। তিন মাসে ১৬ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন রণবীর ঘরণী।
সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট Rujuta Diwekar-এর ডায়েট ফলো করেছিলেন আলিয়া। প্রাথমিক একটা ডায়েট চার্ট ফলো করতেন। ছয় থেকে সাত রকমের খাবার থাকত তাঁর খাদ্যতালিকায়। ব্রেক ফার্স্টে থাকত পোহা, ডিম আর স্যান্ডুইচ। ওজন কমাতে আলিয়া খেতেন বাদাম, মাখনা আর বিভিন্ন রকমের ফল। লাঞ্চে থাকত বাড়ির তৈরি খাবার যেমন রুটি, ডাল, ভাত আর স্যালাড। আর ডিনারে আলিয়ার প্রিয় দই ভাত। ওয়ার্কআউটের পর আলিয়া খেতেন লেবু জল আর ডাবের জল।
ওজন ঝরিয়ে নিজেকে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম করতে ডায়েটের পাশাপাশি আলিয়াকে নিয়মিত শরীরচর্চাও করতে হত। সেলিব্রিটি ট্রেনার Yasmin Karachiwala-র কাছে ট্রেনিংনিতেন আলিয়া। পিলাটেস করতেন অভিনেত্রী। পারফেক্ট ফিগার পেতে আলিয়াকে করতে হত stretching, strengthening ও cardiovascular। একাধিক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেছেন ডায়েটের থেকেও শরীরচর্চা কতটা উপকারি। 'স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার'-র 'সানায়া' থেকে 'বদ্রীনাথ কী দুলহানিয়া'-র 'বৈদেহি'-তে আলিয়ার বডি ট্রান্সফরমেশনের তারিফ করেছিল ভক্তরা।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আলিয়ার খাদ্যাভাস ও শরীরচর্চার কাঠামোটা কেমন ছিল। আলায়া থেকে সানায়া ঙয়ে উঠতে আলিয়া খাবারের তালিকায় থাকত হরেক রকমের সবজি, মুরগীর মাংস, অল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেড যুক্ত আবার বেশি পরিমানে ফাইবার যুক্ত খাবার। ফল, জুস আর হার্বল চা খেতেন আলিয়া। দিনে অল্প অল্প করে খাবার খেতেন।
শরীরে প্রোটিনের ব্যালেন্স রাখতেই এইরকম পদ্ধতিতে খেতে হত। নিয়নিম জিমে যেতে হত। কার্ডিও করতেন যেমন ট্রেডমিলে দৌঁড়ানো আর মাসল শক্তিশালী করতে strength ট্রেনিং নিতেন। প্রেগন্যান্সির পর ব্যালেন্সড ডায়েটে ফোকাস করেছিলেন আলিয়া। সেই সঙ্গে করতেন কিছু শরীরচর্চা।