কথায় বলে মানুষ অভ্যাসের দাস, তার স্বভাব কোনোভাবেই যায় না। ঠিক তেমনই নখ খাওয়া কিন্তু মানুষের এক ধরনের বদ অভ্যাস, এটি সহজে থামানো যায় না। এমনকি চেষ্টা করলেও অনেকে ছাড়তে পারে না। রাগ হোক কিংবা চিন্তা মুখে হাত দেওয়া তাদের এক নিত্য নৈমিত্তিক অভ্যাস। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক সংস্থার মতে, একে বাধ্যতামূলক এবং পুনরাবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
নখ খাওয়া মানুষের অভ্যাসে পরিণত হয় কেন?
একাধিক ভূমিকা থাকতে পারে। অর্থাৎ জেনেটিক থেকে শুরু করে অভ্যাস এবং অন্তর্নিহিত অবস্থা স্ননকি মানসিক অবস্থাও। ডায়েটিশিয়ান ঐশ্বর্য চিন্ত্রে বলছেন, নখ কামড়ানো আসলেই মানুষের উদ্বেগের ইসবগে সম্পর্কিত। স্ট্রেস, চিন্তা ভাবনা এমনকি একঘেয়েমী ভাব থেকে মুক্তি দিতেই কাজ করে। যারা অভ্যাসের বশে এই কাজ করে তারা নিজেকে শান্ত রাখতেই এটি করে। আবার অনেকেই আছে যারা ক্ষুধার্ত বোধ করে, সেই ক্ষেত্রে এটি ভয়ানক ভূমিকা নিতে পারে।
আসলেই কী এটি উদ্বেগের কারণ?
নখ কামড়ানো একদিকে যেমন মানসিক শান্তি দিতে পারে কিছু সময়ের জন্য, তেমনই লোকসমাজে অপমানের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সামাজিক এবং মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে সেই থেকে। বিকৃত নখ থেকে নখের সংক্রমণ এবং এর আশেপাশে টিস্যু থেকে ধুলোবালি এমনকি ময়লা গিলে ফেলার কারণেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরজীবী সংক্রমণ, ঝুঁকি বৃদ্ধি এগুলি করতে পারে। চোয়ালের ব্যথা, জয়েন্ট আলগা হয়ে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, নখ খাওয়ার কারণে পেটে ব্যাথা, পেট খারাপ- এগুলি খুব বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে।
শুধু তাই নয়, চিকিৎসক রিংকী কাপুর বলছেন এর থেকে নখের চারপাশে রক্ত, ফোলা ভাব এবং সেই থেকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর থেকে চামড়া ওঠার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
কীভাবে এটি বন্ধ করা যেতে পারে?
বাড়ির কিছু পদ্ধতি যেমন, নেইল পলিশ এমনকি মাউথ গাম এগুলি ব্যবহার করলে বেশ কাজে দেবে। এছাড়াও,
নখ ছোট করে কেটে রাখা কিংবা ম্যানিকিওর করানো বেশ ভাল।
রাত বিরেতে হাতে গ্লাভস পরে থাকুন, বিশেষ করে যারা একা থাকেন তাদের অবশ্যই এই কাজ করা উচিত।
কোন সময়ের দিকে বা কোন মুহুর্তে দাঁত দিয়ে নখ কাটেন সেটি জানার চেষ্টা করুন।
নখ খাওয়ার বদলে চুইং গাম খাওয়া অভ্যাস করুন এতে স্ট্রেস কম।
এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, প্রয়োজনে সাহায্য করুন।