চাল কিংবা ভাত এটি ভারতবর্ষের তথা বিশ্বের কোনায় কোনায় সব মানুষের নিত্যদিনের খাবারের মধ্যে একটি। এবং তার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পুরনো অথেন্টিক সব রেসিপি। চাল দিয়ে কত রকমের রেসিপি হয় জানেন? শুধু গরম ভাত নয়। সুদূর এশিয়ান কুইজনে ভাত দিয়েই বরফের চুর্নের ন্যায় ঠান্ডা মুচমুচে রেসিপি বানানো যায়। আর আমাদের গ্রাম বাংলার স্তরে পান্তা ভাতের ডেলি কেসি প্রত্যেকেই জানেন। কিন্তু এই চাল কিংবা ভাতের মাড় অন্যান্য ক্ষেত্রেও দারুন ভাবে কাজে দেয়।
চাল ধোয়া জল বেশিরভাগ সময়েই মানুষজন ফেলে দেন, ভাবেন এর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু এটি একেবারেই সত্যিই নয়। এর যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। এই সাদা চালের জল কিন্তু আপনার স্কিন, চুল এমনকি এনার্জি বাড়াতে নিদারুণ কাজে দেবে। তার সঙ্গেই প্রচুর পুষ্টি এবং নিউট্রিশন সমৃদ্ধ এটি।এর গুণাবলীর মধ্যে ;
• এটি সহজেই হজম করতে কাজে লাগে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ। হেলদি থাকতে সাহায্য করে এবং কনস্টিপেশন এর ধাত থেকে মুক্তি দেয়।
• রান্না করা ভাতের জল কিংবা মার আপনাকে এনার্জি দিতে সক্ষম। যারা দেহে কোনও যুত অনুভব করেন না অথবা গতি নেই তাদের এক গ্লাস এটি কিন্তু খাওয়া উপকারী হতে পারে। রোজ ভোরবেলা ক্যাফেইন ফ্রি পানীয় খেতে হলে এটি ট্রাই করতে পারেন, ভাল ভাবেই এটি শরীরের অলসতা দুর করে।
• এই জলে ইনোসিতল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি চুলের পক্ষে বেশ ভাল। এটি চুলে ঝলমলে ভাব বজায় রাখতে পারে এবং একে গোড়া থেকে স্ট্রং করে। তার সঙ্গে উপস্থিত ভিটামিন ই এবং এ স্ক্যাল্পে চুলকুনি কিংবা যেকোনও ধরনের অস্বস্তি থেকে রেহাই দিতে পারে। তাই চুলের সমস্যায় এটি শিরোধার্য।
• ব্রণ অথবা মুখে র্যাশ কিংবা চুলকুনি থেকে রাইস ওয়াটার আরাম দিতে পারে, তাই নয় বরং লোমকূপের গোঁড়া উন্মুক্ত করে স্কিনের সমস্যা হওয়া থেকেও বাঁচায়।
• অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেলস এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট জেল্লাযুক্ত ত্বকের পক্ষে বেশ কার্যকরী। এটি আপনার স্কিনের বয়স কম করতেও সক্ষম। রিংক্লেস দেখতে শুরু করলেও সেই জায়গায় এই জল অ্যাপ্লাই করুন দেখবেন কাজে দিচ্ছে।
এগুলি ছাড়াও, ডায়রিয়া এমনকি আবহাওয়া বিশেষে শরীর হাইড্রেটেড রাখতেও এটি কাজ করে। এরপর থেকে আর কিন্তু ফেলে দেবেন না চাল ধোয়া জল, নিজের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন