মাস্ক ব্যাবহার করার অভ্যাস আদতে কতজনের ছিল বলুনতো? আমার আপনার মত বেশিরভাগ লোক জীবনে কল্পনাও করতে পারেননি যে মুখ হাত পা ঢেকে একদিন বাড়ি থেকে জড়ভরতের মত বেরতে হবে। তবে দিন যখন মহামারীর আর উপায় কি!
Advertisment
বিশেষত যারা চশমা পড়েন তাদের কিন্তু ভীষণ সমস্যা এই মাস্কের উৎপাতে। মাঝে মধ্যেই একরকম ধোয়াশার সৃষ্টি হয় চশমার গ্লাসে আর তখনই আসল ঝক্কি। বড্ড দেখতে কষ্ট হয়। যদিও বা টিকাগ্রহন সবথেকে ভাল উপায় করোনা থেকে দূরত্বের তবে এখনও যা পরিস্থিতি মাস্ক কিন্তু অবশ্যই পড়তে হবে। তাই চশমা যাদের আছে তাদের জন্য এবার ছোট্ট ট্রিক নিয়েই হাজির!
সময় এখন নিজেকে সুস্থ রাখার সে যেভাবেই হোক! ডা: ড্যানিয়েল হেইফেরম্যান এই বিষয়েই একটি দারুন সাজেশন দিয়েছেন। টুইটারের মাধ্যমেই ফটো শেয়ার করে জানান যে কীভাবে চশমা এবং মাস্ক দুটিকে ধোয়াশা ছাড়াও পড়া যায়। কিছুই না! ছোট্ট একটি ব্যান্ডেট মাস্কের ওপর নাকের মাঝ বরাবর লাগিয়ে নিন। সমস্যা থেকে রেহাই। তিনিও যে এই বিষয়টি একেবারেই নতুন জেনেছেন সেটি বেশ পরিষ্কার। ক্যাপশনে লেখেন, মানুষের উদ্দেশ্যে ছড়িয়ে দিন এতে তাদের প্রাণ বাঁচবে। এতে চশমা ব্লার হবেও না আর আপনিও বেঁচে যাবেন।
আরেকটি ট্রিক কিন্তু আছে! অনেকেই সার্জিক্যাল মাস্কের পরিবর্তে অন্য কোনও কাপড়ের কিংবা N-95 মাস্ক ব্যাবহার করেন সেটি খুবই ভাল বিষয়। তবে এই ট্রিকটি কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমেই সার্জিক্যাল মাস্কটি পরে নিন। সম্পূর্ণ ওপর থেকে নীচে ভাঁজ হয়ে থাকা অংশ বিস্তৃত করে নিন। এবার মাস্কের ওপরে শক্ত জায়গাটি জুড়ে একটু নাকের ওপর চেপে দিন। তাহলেই আর কোনও সুযোগ নেই। ব্যাস! কেল্লাফতে!
তাহলে আর কিন্তু সমস্যা রইল না! এক ভীষণ বিরক্তি থেকে এবার রেহাই পাবেন। অসুবিধে হবেও না আর ভাইরাস থেকে দুরেও থাকবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন