সূর্য ভিটামিন ডি এর এক নিদারুণ উৎস, চিকিৎসকরা এমনও বলে থাকেন যে সূর্যের আলোয় সারাদিনে বেশ কিছুক্ষণ সময় থাকলে তার আর সাপ্লিমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না। কিন্তু শরীরের অন্যান্য সবকিছুর সঙ্গেই ভিটামিন ডি এরও প্রয়োজনীয়তা আছে।
Advertisment
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, শরীরে এটি সঠিক পরিমাণে না থাকলে, হাড়ের জোর কমে, মানসিক চাপ বেড়ে যায় সঙ্গেই দাঁত এবং আকস্মিক রোগের মাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। প্রতিটি বিষয়ের আলাদা লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়, সুতরাং সতর্ক থাকা খুবই দরকার। যে বিষয়গুলি সবথেকে আগে নজরে আসতে শুরু করে তার মধ্যে,
ভিটামিন ডি এর সঙ্গে শরীরের সোডিয়াম পটাশিয়াম সম্পর্কযুক্ত তাই এটি শরীরে সঠিকমাত্রায় না থাকলে মানুষের ভুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে থাকে, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়। মন এবং মানসিক একসঙ্গে কাজ করতে পারে না।
শরীরে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায়। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে এই বিষয়ে ধ্যান দেওয়া উচিত।
ভিটামিন ডি এর অভাবে মুড সুইং খুব সামান্য ব্যাপার। তবে অনেকেই ক্ষেত্রেই এটি বিশাল আকার নিয়ে থাকে। কারওর মুড সুইং এর অবস্থা এতটাই বেড়ে যেতে থাকে যে, এটি একটি রোগে পরিনত হয়।
বিশেষ করে যারা শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়াম করেন, তাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। সহজেই তারা হাঁপিয়ে যান, এটি ইমিউনিটি কমে যাওয়ার কারণেই হয়। চেষ্টা করবেন যেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি শরীরে থাকে, তবেই ইমিউনিটি শরীরে সঠিক পরিমাণে থাকে।
রইল কিছু টিপস :-
ভোরের দিকে ১০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকা অভ্যাস করুন, এর থেকে অনেক ভাল কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
ফ্যাটি ফিস এবং সামুদ্রিক মাছ, এগুলি ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস, এগুলির সেবন করতে হবে।
আমিষ খান না? তবে মাশরুম খেতে পারেন, এটি সবজি এবং নিরামিষ তবে ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস!
এছাড়াও ইচ্ছে হলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন, শরীরে জোর আনে, দুর্বলতা কমে যায়।