গরম পড়েছে একেতেই তার সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন, এই সময় ফুসকুড়ি কিংবা অ্যালার্জি খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাদের ত্বক খুব অ্যালার্জি প্রবণ অর্থাৎ ছোট থেকেই এই সমস্যায় ভুগছেন। তাদের কিন্তু ভীষণ স্পর্শকাতর এই বিষয়টি, ছোটখাটো কিছু থেকেই সমস্যা দেখা যেতে পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ আলকা বিজয়ন বলছেন, এই ধরনের সমস্যা কিছু ছোঁয়া থেকে কিংবা খাবার যেমন অতিরিক্ত তেল মশলা কিংবা টক জাতীয় অথবা সামুদ্রিক মাছ এগুলি থেকেও হতে পারে। তবে জানতে হবে খুব স্বাভাবিক কিছু উত্তর। যেমন?
ছোট থেকেই আপনি এই অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন কিনা? ডায়েট অনুসরণ করেন কিনা কিংবা এতে যে খাবার রয়েছে সেগুলি আপনার শরীর অনুযায়ী যায় কি না? এবং রাত্রে ঘুমাতে দেরি করেন কি না?
যদি ছোটবেলা থেকেই এই সমস্যা আপনার থেকে থাকে তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে দৈহিক দশা পিত্ত। প্রকৃতি অনুযায়ী, আপনার ত্বকের সমস্যা থাকা খুব সাধারণ। স্কিন সংক্রান্ত রোগ থাকার সুযোগ খুব বেশি। এই ধরনের প্রকৃতি যাদের হয় তাদের মধ্যে অল্পেতেই রেগে যাওয়া, প্রখর বুদ্ধি এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় চিকিৎসকরা বলেই থাকেন যে এদের ঘাম বেশি হয়, সেই থেকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ঘুমের দিকেও ভাল পরিবর্তন আনা খুব জরুরি! কারণ এটাই মূল। বেশি দেরি করে ঘুমালে রিদমের অনিয়ম হয় এর থেকেই হরমোনের কার্যক্ষমতা হেরফের হতে থাকে। এটি প্রভাব বিস্তার করে ভাতা এবং পিত্ত দশার ওপর। সঙ্গেই অতিরিক্ত শরীরচর্চা হোক কিংবা পরিশ্রম, রক্তের প্রবাহ মাত্রা বেড়ে গেলে কিংবা গরম থাকলে খুব সমস্যার। অ্যালার্জি এর থেকে চরম বাড়তে পারে। শরীরে বেশি ধকল আপনার জন্য খারাপ প্রমাণিত হতে পারে তাই শান্ত থাকুন। ঠাণ্ডা জল খান, বেশি ঘেমে গেলেও মুখ চোখে জলের ঝাপটা দিন। শরীরকে ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করুন।
খাবারের ক্ষেত্রে রাখতে হবে বেশ নজর, অর্থাৎ খুব বেশি গরম খাবার খাওয়া চলবে না। সাধারণ তাপমাত্রা হতে হবে। নইলে শরীরে প্রদাহ বেড়ে গেলে রক্ত গরম হয়ে পড়ে, সঙ্গেই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারে বাদাম, ফার্মেনটেড খাবার যেমন ইডলি, দই ইত্যাদি ছাড়াও স্যালাড সঙ্গে অল্প মাংস এগুলি খেতে হবে।