মানুষ এখন যথেষ্ট ফিগার কনসাস, নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে ভীষণ ভাল বোঝেন। অনেকেই আছেন যারা চকোলেট কিংবা ক্যালোরি জাতীয় খাবার কম খান। তার মধ্যে চকোলেট একটি, যদিও বা হোয়াইট চকোলেট কিংবা মিল্ক চকোলেট সবথেকে বেশি ওজন বাড়িয়ে তোলে। সেই জায়গায় ডার্ক চকোলেট কিন্তু একেবারেই আলাদা।
Advertisment
ডার্ক চকোলেট আসলেই ভীষণ ভাল কিছু উপাদানের উৎস। সেগুলি শরীরে নানা সমস্যার মাত্রা কমাতে পারে। ডার্ক চকোলেট আসলে কী? কেবলমাত্র মিষ্টি বিহীন কোকো এবং, রও চকোলেট দিয়ে বানানো একটি খাবার যাতে চিনি, দুধ এবং অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার একেবারেই থাকে না। ফলে এর থেকে শরীর অসুস্থ হওয়ার সুযোগ একেবারেই নেই। তবে এর মধ্যে একবার মিল্ক চকোলেট খেলে কিন্তু একেবারেই অসুবিধে নেই!
কী কী পুষ্টিকর উপাদেয় থাকে এতে?
ডার্ক চকোলেটে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন মিনারেলস ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, তামা এসব থাকে। শরীরের পক্ষে কিন্তু সবকটিই বেশ গুরুত্বপূর্ন। রক্ত কমে গেলে, আয়রনের মাত্রা কমে গেলে এগুলি কাজে দিতে পারে।
ডার্ক চকোলেট একসঙ্গে, অনেক ধরনের রোগের মাত্রা কম করতে সক্ষম। যেমন, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ছাড়াও ইনসুলিনের মাত্রা এবং তার সঙ্গেই PCOS। এর প্রথম কারণ এই ডার্ক চকোলেট, যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ যুক্ত, যায় ফলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে। এছাড়াও এটি স্কিনকে সূর্যের আলোর হাত থেকে রক্ষা করে, এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
শুধু তাই নয়, ডার্ক চকোলেট খিদে কম করে এবং শরীরে চর্বির মাত্রা কমায়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার নেশা যাদের তাদের এর থেকে লাভ হতে পারে। সুতরাং যেটা করতে হবে সেটা হল, অত্যধিক মাত্রায় নয়, বরং সপ্তাহে দুই থেকে তিন পিস ডার্ক চকোলেট খেতে হবে। বেশি মাত্রায় খেলে আবার কনস্টিপেশন শুরু হয় যেতে পারে।