করোনা পরবর্তীতে হার্টের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আর যদি কোনও অঙ্গ সমস্যার কবলে পড়তে থাকে, তবে সেটি হল লাংস কিংবা ফুসফুস, অর্থাৎ ভাইরাসের সর্বশেষ আক্রমণের স্তর ছিল ফুসফুস। এটি নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, বলা উচিত এর অবস্থা এখন খুবই খারাপ। তাই একে সুস্থ রাখতে গেলে অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা করা প্রয়োজন! যেমন?
Advertisment
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ অন্বেষা মুখোপাধ্যায় বলছেন শরীর সুস্থ রাখতে গেলে অথবা ভাল ভাবে বেঁচে থাকতে গেলে প্রানা এনার্জি খুব দরকার। শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে যে বায়ু শরীরে প্রবেশ করে সেগুলি কিন্তু বেশ বিশুদ্ধ বাতাস হলেই ভাল। তিনি বলছেন ফুসফুস যদি সঠিক মাত্রায় কাজ না করে তবে এর থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা, দূষিত রক্ত প্রবাহ এবং আয়ুর্বেদের সঙ্গে সঙ্গেই যোগা দ্বারাও কিন্তু ফুসফুসকে আরও উন্নত করা যায়। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জির ধাত, কিংবা ঠান্ডা লাগার সমস্যা, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশ সমস্যায় ফেলতে পারে এবং তখনই নানা উপায় কাজে দেয়।
যে ধরনের যোগা এতে ভাল কাজ করবে?
সূর্য নমস্কার ( ৩ থেকে ৫ বার )
Advertisment
অর্ধ মাত্যাসেন্দ্রসান ( শ্বাস ধরে রাখতে হবে ১০ সেকেন্ড )
বাসক, তুলসী, অশ্বগন্ধা, পুদিনা, আদা, শঙ্খ পুস্পি, লাল চন্দন, শ্বেত চন্দন, হলুদ, নিম, এলাচ, মেথি - হাতের কাছে এই সবগুলি মোটামুটি থাকেই এবং এগুলি শরীরের পক্ষে ভাল কাজ করতে পারে।
ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এবং আস্থমা কম করতে যে পঞ্চকর্ম অভ্যাস করবেন?
ঘি দ্বারা নাস্য এই ক্ষেত্রে বেশ ভাল কাজে লাগতে পারে।
বাষ্প স্বেদানা কিংবা ভাপ নেওয়া এইক্ষেত্রে বেশ ভাল।
কাভালা কিংবা তৈল মর্দন।
বুকের চারপাশে তেল দিয়ে মালিশ করা।
স্বল্প সময় হলেও একটু ভ্রমণ করা কিংবা প্রকৃতিতে সময় কাটানো।
রইল বেশ কিছু উপদেশ :-
আমিষ জাতীয় খাবার, দুধ এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করে দিন।
অবশ্যই ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।
স্ট্রেস কম করতে হবে।
সারাদিন উষ্ণ জল খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
হলুদ দিয়ে দুধ রোজ পান করতে হবে।
দই, কালো ডাল এবং ঠান্ডা জল একদম এড়িয়ে চললেই ভাল।