আজকাল খুব কম মানুষকেই খুঁজলে পাওয়া যাবে যারা নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। শরীরচর্চা হোক কিংবা যোগ সাধনা সকলেই ভীষণ তৎপর। বিশেষ করে যোগা এমন একটি বিষয়, যেটি মানবদেহের সঙ্গেই মগজাস্ত্রতেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা মানসিক ভাবে সঠিক পর্যায়ে নেই তারা কিন্তু এটি ভেবে দেখতে পারে।
বিশেষজ্ঞ রাজেশ সিং মান ( পরিচিতি আচার্য অদ্বৈত যোগভূষণ নামে - যোগাগুরু ) বলছেন, মস্তিষ্কের সঙ্গে দৈহিক যোগ সাংঘাতিক। প্রতিটি মানুষের জীবনেই বার্ধক্য আসে, এবং শিরদাঁড়ার জোর তখন কমতে থাকে। শরীরে মেদ জমতে থাকে অনেকেরই, আবার কারওর কারওর ইমিউনিটি হ্রাস পায় বিপুল পরিমাণে, এগুলিকে আসলেই বেশি বয়সের রোগ বলা হয়ে থাকে। তাই যোগ সাধনার মাধ্যমেই শরীরকে ধরে রাখা যায়।
তিনি আরও বলছেন, জীবনের ঘটনাগুলিকে একজোট করলে দেখা যায়, মানুষ প্রতিনিয়ত অনেক কিছু শিখতে থাকে। আর প্রতিদিনের সেই ঘটনা মানুষের ইন্দ্রিয়কে প্রভাবিত করে, মানসিক ভাবে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানোর লক্ষণ দেখা যায়। সুস্থ থাকতে গেলে মন, মানসিক এবং আত্মাকে এক হয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শরীরের সচেতনতা বাড়াতে গেলে নিজেকে শান্ত রাখতে হয়। মন ভীষণ ভাবে দেহের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সেই থেকেই, এর ভাল থাকা খারাপ থাকা নির্ভর করে।
যোগ সাধনা মানে শুধুই শরীরের অনুশীলন একেবারেই নয়। বরং এর উপকারিতা শরীর এবং মনের সঙ্গেও মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত। যেমন, 'অস্টাঙ্গ যোগ' - এর একেবারের প্রথম পর্যায়ে, যম এবং নিয়মাস অনুশীলন করা হয় সুখ তথা সমৃদ্ধির জন্য। একজন মানুষের জীবনে সন্তুষ্টি প্রয়োজন, অনেক ধরনের বিকাশ প্রয়োজন - সেই ধারণাকে পুনরুজ্জীবিত করার খুব দরকার, যোগ সাধনা ঠিক সেটাই করে।
যোগা কিন্তু মানুষের শরীরকে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে সংবেদনশীল অঙ্গ এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের কর্ডগুলি একসঙ্গে যুক্ত থাকে, সুতরাং একটি সঙ্গে আরেকটি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত! মেরুদন্ডের প্রভাব মস্তিষ্কের ওপর থাকবেই, তেমনই যোগব্যায়াম অনুশীলন করলে এই ধরনের যোগাযোগ খুবই সাবলীল থাকে। বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর রাখতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে কার্যকরী রাখতে যোগ সাধনা খুব দরকার।