অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় নাজেহাল আপনি? রাগে, ঘেন্নায় অপমানে সামনের মানুষটিকে ভুলতে পারছেন না কিছুতেই? অথচ এদিকে মাথাচাড়া দিয়ে রোজ বাড়ছে আপনার স্ট্রেস, দুশ্চিন্তার মতো হাজারও সমস্যা। এরকম অবস্থা যদি আপনার হয় তাহলে ক্ষমা করে দিন তাঁর ভুল ভ্রান্তিগুলো। সে কাছের বন্ধু, আত্মীয় অথবা যেই হোক না কেন। অন্যদের ওপর রাগ পুষে রাখলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। তাই এভাবে নিজের ক্ষতি না করে অপরকে ক্ষমা করতে শিখুন। প্রয়োজনে আবার নতুন করে শুরু করুন সমস্ত, অথবা অযথা মনে না রেখে ভুলে যান সেই মানুষটিকে। আর এসবের জন্য সবার প্রথমে ক্ষমা করে দিন সেই মানুষটিকে যতক্ষণ না তাঁর ওপর আপনার রাগ, ঘেন্নার অনুভুতিগুলো কমে যায়। যদি প্রশ্ন করেন কেন? তাহলে উত্তরগুলি পড়ে নিন চটজলদি।
স্ট্রেস কমাতে
যার কথা ভাবলেই ঘেঁটে যান প্রতিনিয়ত, তাঁর কথা ভাবাই ছেড়ে দিন বরং। আর তাঁকে ভুলতে গেল প্রথমেই তার ওপর রাগ গুলো সরিয়ে নিন। ক্ষমা করে দিন তাঁকে। দেখবেন আপনার স্ট্রেস কমে গেছে অনেকটাই।
দুশ্চিন্তা কমাতে
দুশ্চিন্তায় ভুগছেন অথচ কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না কিছুতেই। আসলে নানা কারণেই আমাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধতে পারে। এই চিন্তাকে কিছুটা হালকা করতেও ক্ষমা করে দিন। এমনকি দোষী যদি আপনি নিজেও হন, তাও নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন। দেখবেন সমস্যার অনেকটা সমাধান পেয়ে যাবেন হাতেনাতেই।
মানসিক শান্তি
যতদিন আপনি খারাপ চিন্তাগুলো মনে রেখে দেবেন, ততদিন কোনভাবেই মানসিক শান্তি আপনার নাগালে আসবে না। তাই ক্ষমা করতে শিখুন, আর ভুলে যান সেসব তিক্ত মুহূর্ত। এরপর খেয়াল করুন দিব্যি খোস মেজাজে কাটছে দিন। মনের ভার অনেকট লাঘব হওয়ায় মানসিকভাবেও শান্তি পাচ্ছেন আপনি।
রাগ সংবরণ
যতবার তাঁর মুখটা মনে পড়ছে রাগে, তিক্ততায়, ঘেন্নায় শিউরে উঠছেন? রেগে যাচ্ছেন ততবারই? তাহলে তাঁর মুখটা ভুলে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তার ভুল ভ্রান্তিগুলো ক্ষমা করে দিন। দেখবেন নিজে থেকেই মুখটা মিলিয়ে গেছে একদিন। আর ষড় রিপুর অন্যতম এই রিপুটি ও বেপাত্তা হয়েছে অজান্তেই। আর এতে ভাল থাকবেন আপনিও এবং আপনার আশেপাশের মানুষজনও।
সম্পর্কের দৃঢ়তা
কাছের বন্ধুদের একটা ভুল ক্ষমা করে দিয়ে, আবার নতুন করে শুরু করুন। মাথায় রাখবে এক ভুল বারবার করলে সেই ব্যক্তি আর ক্ষমার যোগ্য থাকেননা। তাঁর থেকে বরং দূরে থাকাই শ্রেয়।