আজ ২৫ অক্টোবর চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। এই আংশিক সূর্যগ্রহণ বিশ্বের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি ভারতেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যাবে। তার মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে। আন্দামান-নিকোবর, আইজল, ডিব্রুগড়, ইম্ফল, ইটানগর, কোহিমা, শিবসাগর, শিলচর ও তামেলং থেকে গ্রহণ দেখা যাবে না। দিল্লি থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। মুম্বই থেকে দেখা যাবে ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। চেন্নাই থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ৩১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের জন্য।
শ্রীনগরে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টা ১৪ নাগাদ। শেষ হবে বিকেল ৫টা ২০-তে। ভুবনেশ্বরে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ৪টা ৫৬ নাগাদ। শেষ হবে ৫টা ১৬-য়। ভোপালে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টা ৪২ নাগাদ। শেষ হবে ৫টা ৪৭-এ। বেঙ্গালুরুতে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১২ নাগাদ। শেষ হবে ৫টা ৪৭-এ। পুরীতে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টা ৫৭ নাগাদ। শেষ হবে ৫টা ১৭-য়। জয়পুরে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টা ৩২-এ। গ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টা ৫০ নাগাদ।
কলকাতায় সূর্যগ্রহণ কখন?
সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ রোজ ঝলমলে। মহানগরে বিকেল ৪.৫১ মিনিট থেকে ৫.০৪ পর্যন্ত খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
একথা বহুল প্রচলিত যে আমাদের জীবনে সূর্যগ্রহণের প্রভাব পড়ে। মনে করা হয় যে আমাদের চোখের ওপর সূর্যগ্রহণের বিরূপ প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খালিচোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে তা চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাতে গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। তাই গ্রহণ দেখার সময় সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। আবার অনেকে মনে করেন যে সূর্যগ্রহণের ফলে মানুষ খুব ক্লান্ত এবং অলস বোধ করে। সূর্যগ্রহণ মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন- জাগ্রত দেবী কাটোয়ার খেপি মা, শ্যামাপূজায় দর্শনে মুখিয়ে থাকেন ভক্তরা
যদিও গ্রহণের শেষে সেই সমস্যাও সেরে যায় বলেই বিশ্বাস করা হয়। আবার, অনেকে মনে করেন যে সূর্যগ্রহণের সময় কিছু খেলে বা পান করলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই গ্রহণের সময় কিছু খাওয়া উচিত নয়। আবার অনেকের দাবি, সূর্যগ্রহণ ব্যক্তির মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে এই সময়টায় বিরক্তিভাব আসতে পারে। তবে, সেটাও গ্রহণ থাকাকালীন সময়েই আসে বলেই দাবি জ্যোতিষীদের। গর্ভবতী মহিলাদেরও তাঁরা গ্রহণের সময় বাইরে না-বেরনোর পরামর্শ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে দিচ্ছেন।
এই ধরনের বিশ্বাস থেকেই সূর্যগ্রহণের সময় দেশের বিভিন্ন মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনও মন্দির দুপুর সাড়ে তিনটের পর বন্ধ হয়ে যাবে। খুলবে সন্ধ্যার পর। আবার কোনও মন্দির সকালে মঙ্গল আরতির পর ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিজ্ঞান স্বাস্থ্যের ওপর সূর্যগ্রহণের এই ধরনের প্রচলিত ধারণায় বিশ্বাস করে না।