/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/04/download-2.jpg)
সাধারণ দিনগুলো করে তুলুন অসাধারণ।
মন ভাল নেই ? তাহলে গান শুনুন, বিশেষজ্ঞদের মতে গান শুনলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। মনও ভাল থাকে সারাদিন।
‘হ্যাশট্যাগ ফিলিং মুড অফ’, এটা আজকের প্রজন্মের রোজকারের স্ট্যাটাস আপডেট। বাবা-মা’রাও ছেলেমেয়েদের এই ভাবগতিক ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। মিনিটে মিনিটে মুড বদলাচ্ছে, এর ছবিটা এখন বর্তমানে সর্বত্র। ইঁদুর দৌড়ের যুগে দাঁড়িয়ে সবদিকটা সামলে উঠতে নাস্তানাবুদ প্রায় সকলেই, সারাদিনের হাজারও ঝক্কি সামলাতে গিয়ে মুডের দফারফা. আবার কখনও কখনও মুড অফের কারণ খুঁজতে গিয়েই আরও খেই হারিয়ে ফেলছে অনেকেই। আপনি কি জানেন? ক্ষণে ক্ষণে মুড খারাপ হওয়াটা একরকম হতাশার লক্ষণ? তবে এই সমস্য়ার সমাধানও বেশ সহজ।
সকালে উঠে অফিস যাওয়ার তাড়া আর বাড়ি ফিরে সংসারের চাপ, এসবের মাঝে গান একদিকে তো আপনি অন্য়দিকে। অফিস যাতায়াতের পথে ভিড় বাসে ইয়ার ফোনটা গুঁজে নিন কানে, দেখবেন বাকি সময়টা মেজাজটা ফুরফুরে লাগছে, অফিসের সব চাপ কর্পুরের মতো কেমন উবে গেছে। কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠেই রেডিও বা মিউজিক সিস্টেমটা অন করে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও গান শুনতে পারেন। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে দুঃখের গান না শোনাই শ্রেয়। এতে সারাদিনের মানসিক চাপ অনেকটা হালকা হয়। তবে খেয়াল রাখবেন রাস্তাঘাটে হাঁটতে চলতে ফুল ভলিউমে কানে হেডফোন বা গাড়ি চালানোর সময় জোড়ে গান না শোনাই ভালো ।
কী ধরনের গান শুনবেন, সেটাও ঠিকঠাক বাছা জরুরি। আর কেউ না জানুক, নিজেকে সবথেকে ভাল করে জানেন আপনি নিজেই। তাই, যে ধরনের গান পছন্দ করেন, সেইসব গানই শুনুন। ধরুন, আপনার মুড খারাপ, আর সেইসময়ই দুঃখের গান শুনছেন, তাহলে কিন্তু মুশকিল। মুড বুঝে পছন্দমতো গান শুনুন। তবে চড়া সুরের গান না শোনাই ভাল, এতে চাপ কমার থেকে চাপ ক্রমশ বাড়ে। হালকা টোনের মিউজিক শোনাই এ সময়ে সবথেকে ভাল।
হাসপাতালেও আজকাল গান বাজানো হয়। রোগীদের মানসিকভাবে শক্ত করতে মিউজিক থেরাপির প্রচলন বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গান শুনলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে হালকা টোনের মিউজিক বা গান শুনুন, উপকার পাবেন। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল, লীলাবতী হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বাজানো হয় রোগীদের জন্য।
আর হ্যাঁ, যতটুকু গান শুনছেন, মন দিয়ে শুনুন। গান বেজে চলেছে, আর আপনার মন কোথায় হারিয়ে গেছে, তাহলে কিন্তু চলবে না।