চুল লাল, বাদামি, গেরুয়া, বেগুনী, সবুজ করাটাই এখন ফ্যাশন। তাই আপনার সেই ইচ্ছে হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছুই না। তবে কিনা, বাজার চলতি হেয়ার কালার চুলের ক্ষতিই করে। চুলকে রুক্ষ করে দেয়। এই জন্য চুল প্রাকৃতিক উপায়ে রঙ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তো, এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল বাদামি করা যায়?
চা বা কফির লিকার আর মেহেন্দির পাতা
না, প্যাকেটজাত গুঁড়ো মেহেন্দির কথা হচ্ছে না। কাঁচা মেহেন্দির পাতা পাওয়া যায়, সেটা কুচিয়ে চা বা কফির সঙ্গে ভালো করে ফুটিয়ে নিন অন্তত মিনিট কুড়ি। তার পর ছেঁকে, ঠান্ডা করে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটি চুলে ঢেলে নিন। এর পর আর চুল ধোবেন না। এতে হালকা একটা রং হবে। এর চেয়ে গাঢ় বাদামি পছন্দ? তা হলে হেনার পাতা কুচির মধ্যে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে চা বা কফির লিকার মেশান। গাঢ় পেস্টের মতো তৈরি করুন। তার পর এই মিশ্রণ মাথায় মেখে দু’ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর খুব হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে নিন। এ ছাড়াও চা, কফি, বা মেহেন্দির রস আলাদা আলাদাভাবেও ব্যবহার করা যায়। প্রতি ক্ষেত্রে আলাদা শেড মিলবে।
আরও পড়ুন, ঠাণ্ডা না গরম, কোন জলে স্নান করা উচিত শীতকালে?
বিটের রস
নারকেল তেল আর বিটের রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। চুলে মেখে অপেক্ষা করুন ঘণ্টা দুয়েক। তার পর খুব হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
গাজরের রস
গাজর কুরে বেটে নিন। নারকেল বা অলিভ তেলের সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানান। মাথায় সেই প্যাক লাগিয়ে রাখুন দু’ ঘণ্টা, তার পর ধুয়ে নিন প্রাকৃতিক শ্যাম্পু দিয়ে। গাজরের ক্ষেত্রে কিন্তু বিটের চেয়ে হালকা শেড ধরবে চুলে।
সতর্কীকরণ
প্রাকৃতিক হেয়ার ডাই ব্যবহার করার পর হেয়ার ড্রায়ার, ব্লো ড্রায়ার, স্ট্রেটনার ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না – তাতে কিন্তু রং তাড়াতাড়ি ধার হারাবে।
খুব গরমজলে চুল ধোবেন না, তাতেও রং তাড়াতাড়ি ফিকে হয়ে যাবে।
বার বার শ্যাম্পু করলে কিন্তু রংও ফিরে ফিরে লাগাতে হতে পারে।
যদি মনে হয় প্রাকৃতিক হেয়ার কালার ব্যবহার করার পর চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে, তা হলে ব্যবহার তখনই বন্ধ করুন। পর পর কয়েক দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করলেই আবার পুরোনো জৌলুস ফিরে আসবে!