Hairfall Control Tips: গরমকালে মাথায় চিরুণী ছোঁয়ালেই মুঠো মুঠো চুল উঠে যাচ্ছে! মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, গরমে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখাটাও তো জরুরি। যাতে অতিরিক্ত চুল না ওঠে। পুষ্টিগত কারণেও যেমন চুল পড়তে পারে তেমনই রোদের তাপ, দূষণ এবং অযত্নও চুল পড়ার জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে স্ক্যাল্প অপরিষ্কার থাকলেও কিন্তু চুল ঝরার সমস্যা দানা বাঁধে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা চুলের কেরাটিনের সংস্পর্শে চুল ভঙ্গুর হয়ে ঝরে যায়। যদি মাথায় খুশকি থাকে তাহলে চুল আরও বেশি করে ঝরতে থাকে। ভারতের মতো দেশে গরম এড়ানো যাবে না, সারাক্ষণ এয়ার কন্ডিশনড ঘরে থাকাও সম্ভব নয়! তা হলে চুলের ঝরার হাত থেকে কী ভাবে রেহাই পাওয়া সম্ভব?
এমন কিছু ঘরোয়া জিনিস রয়েছে, যা গরমের জন্য উপযোগী হওয়ার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। চুলের যত্নের রুটিনে এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন, যা মাথার ত্বক ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। আইস কিউবের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। এটা শুনে অবাক হচ্ছেন তো? কিন্তু, জানেন এই একটি জিনিস যা চুল দ্রুত বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতেও সাহায্য করে। এক নজরে দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন আইস কিউব?
এটি তৈরি করতে, একটি পাত্রে মেথি বীজ এবং চাল মিশিয়ে নিতে হবে। দুই কাপ জল দিয়ে সারারাত রেখে সকালে এই জল ছেঁকে নিন এবং এতে রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি একটি আইস কিউব ট্রেতে রেখে ফ্রিজে রাখতে হবে। কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এর পর এটি ব্যবহারপযোগী হবে।
এবার জানতে হবে ব্যবহারের পদ্ধতি। চুলে আইস কিউব লাগানোর আগে খেয়াল রাখতে হবে মাথার ত্বক যেন পরিষ্কার থাকে। এটি দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহার রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লাগানোর এক ঘণ্টা পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। গরমে ২ থেকে ৩ দিন পর পর ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
আইস কিউব খুশকির সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। রোজ শ্যাম্পু করতে না পারেন কৌশলটি কার্যকরী হবে। গরমে মাথার ত্বকে অনেক সময় চুলকানি হয়। পিম্পল বা মাথার ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে যায় তখন মাথা চুলকাতে থাকে। আর চুলকানো মানেই চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া। এর জন্য আইস কিউব ব্যবহার করলে ভালো হবে। হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলতে হবে। এটি চুলের পক্ষে আরও ক্ষতিকারক। চুল দুর্বল হয়ে গোড়া থেকে ভেঙে যায়। প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও নষ্ট হয়। তাই একান্তই হিট স্টাইলিং করতে হলে হিট প্রোটেকশন স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।
চুল ঝরা কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে ও অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরের টক্সিন বের করে দেয়। শরীরের প্রতিটি অংশে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়। ফলে, স্ক্যাল্পেও অক্সিজেনের ঘাটতি হয় না। চুলের ফলিকল সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায়। চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো।