হার্ট অ্যাটাকের এখন কোনও বয়স নেই। বিশেষ করে দেখা যায় অল্প বয়সীদের মধ্যেই এই সম্ভাবনা বেশি। তাদের মানসিক চাপ এবং খাটনির কারণেই হৃদরোগের মাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। গরম পরেছে, মানুষের শরীর এখন নিজে থেকেই উত্তপ্ত থাকা স্বাভাবিক। অনেক সময় দেখা যায়, সান স্ট্রোক কিংবা মাইনর হার্ট অ্যাটাক এমনিও ঘটে যেতে পারে। ঘটনার গুরুত্ব বোঝার আগেই খারাপ ভাল কিছু একটা ঘটে যায়। চিকিৎসা তো বটেই তবে প্রাথমিক সুরক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা দরকার।
বিশেষ করে যেসব জায়গায় চিকিৎসা সহায়তা আসতে বেশি সময় লাগে সেখানে এই বিষয়ে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ সম্পর্কে মানুষের জানা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, লক্ষণ না বুঝেই মানুষ মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছে।
কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের শরীর এবং প্যানিকের বিষয়। তবে চিকিৎসকদের মতে যাদের হার্ট অ্যাটাক হয় তারা বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করেন, মাথা ঘোরাতে থাকে। বুকে ভীষণ চাপ বুঝতে পারেন। একদম ফুসফুস তথা হার্টের মাঝে চিনচিনে অনুভূত হয়।
অনেক সময় থুতনি, কাঁধ, হাত এবং পেট তথা তলপেটে ব্যাথা দেখা দিতে পারে। যেহেতু সেই সময় সারা শরীরে রক্ত প্রবাহে সমস্যা দেখা যায়, পেশী কাজ করে না - এই কারণেই হতে পারে। দুর্বলতা অনুভূত হয়, শরীর একদম চলতে পারে না, তাই এই ধরনের লক্ষণ গুলি দেখলেই ভয় না পেয়ে সতর্ক হন।
প্রাথমিক সুরক্ষা কীভাবে নেবেন?
প্রতিটা মুহূর্ত এই সময়ে সঙ্কটজনক। তাই নিজেকে এবং পাশের মানুষকে শান্ত রাখতে হবে। ইমারজেন্সি নম্বরে ফোন করা খুব দরকার, অনেক সময় সুযোগ থাকলে অ্যাম্বুলেন্সে কথা বলুন।
যদি দাঁড়িয়ে থাকেন তবে অবশ্যই বসে পড়া ভাল। এতে হার্টের ব্যথা একটু হলেও কমে, শুয়ে পড়বেন না। এর সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অসুবিধাও অনেকটা কমে।
এইসময় সবথেকে বেশি কার্যকরী সিপিআর। যদি তার পালস রেট না পাওয়া যায় তবে এটি বাঞ্ছনীয়। বুকের মাঝে হাতের তালু দিয়ে চাপ দেওয়া এইসময় ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
যতটা পারবেন জল কম খাবেন কারণ এতে চাপ বাড়তে পারে। মাথায় ঘাড়ে জল দিন কিন্তু জল খাওয়া এইসময় ঠিক নয়।
যতই শরীর ভাল অনুভব করুন, হাসপাতাল যেতে ভুলবেন না। একবার অন্তত গিয়ে পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করিয়ে নিন, নইলে পরে মুশকিলে পড়বেন।