আজকের মা-বাবাদের কাছে বাচ্চার মনোযোগ বাড়ানো একটা বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। পড়াতে বসার সময় হলেই কচি কচি মনগুলো পড়ে থাকে মাঠে। অথবা পড়ার সরঞ্জাম নিয়েই শুরু হল খুনসুটি। আসল কাজটি করাতে মায়েদের একেবারে কালঘাম ছুটে যায়। এই ব্যাপারে বাচ্চাদের মনোযোগ বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল।
মনোযোগ বাড়াতে ঘাম ঝরানো জরুরি
দিনে অন্তত একটা ঘণ্টা রোজ ছোটাছুটি করতে দিন আপনার সন্তানকে। যদি রোজ খেলার জন্য একটু সময় দেওয়া হয় তাহলে ঘাম ঝরে ফলে শরীরের এনডরফিন হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হতে থাকে। তার পর বাচ্চাকে পড়াতে বসলে অনেকটা লাভ হয়। এই হরমোন নিঃসরণের ফলে এক ঘন্টা দেড় ঘন্টা মনোযোগ ক্ষুন্ন হবে না।
আরও পড়ুন, আপনার খুদে ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে তো?
যন্ত্রানুসংগীত শেখাতে পারেন আপনার সন্তানকে
বাচ্চাকে গান শেখাতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় ইন্সট্রুমেন্ট শেখাতে পারলে। পিয়ানো, সিন্থেসাইজার, তবলা, মাউথ অর্গান জাতীয় কিছু শেখালে আপনার সন্তানের মনঃসংযোগ বাড়বে।
বাচ্চাকে খেলার ছলে পড়া পড়তে বসান
জোর করবেন না। জোর করে মনোযোগ আনা যায় না। ছোট ছোট খেলা ওর সাথে খেলতে পারেন। আজকাল চিকিৎসা পরামর্শ দেন সন্তানকে বাজারে নিয়ে গেলে লাল সবজি সবুজ সবজি এগুলো চেনান। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকলে পোশাকের রং দেখতে বলুন। ওকে দিয়ে কবিতা বলাতে চাইলে যেটা করতে পারেন, কবিতার দুই লাইন করে বলেই আপনি বলবেন "আমি ভুলে গেছি আমার মনে পড়ছে না", দেখবেন ঠিক হুড়মুড় করে বলে দিচ্ছে বাকি লাইনগুলো। বাড়ি ভর্তি অতিথির সামনে অযথা সন্তানকে বেশি বেশি গান নাচ দেখাতে বলবেন না ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে।
আরও পড়ুন, নিজের পরিবারেই আপনার সন্তান লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না তো?
গল্প বলুন ঘুমোনোর আগে
শোয়ার আগে কিছুটা সময় গল্প বলার জন্য রাখুন। পারলে এন্যাক্ট করে গল্প বলুন, ওদের আগ্রহ বাড়বে। ওদের সব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনাকে দিতে হবে বিরক্ত হলে চলবে না।
বাবা মায়েদের যা করণীয়
বাবা-মায়েদের কিন্তু একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায় বাচ্চাদের কনসেনট্রেশন বাড়ানোর জন্য। বাবা-মায়েরা কখনো বাচ্চাদের জোর করে ধরে পড়ানোর চেষ্টা করবেন না। সন্তানের বয়স অনুযায়ী তার মনোযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। ৪-৫ বছরের বাচ্চার যে মনোযোগ থাকবে ১০ বছরের বাচ্চার তার চেয়ে বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার সন্তান ছোট হলে তার থেকে খুব বেশি মনোযোগ প্রত্যাশা করবেন না। বাচ্চাকে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট মোবাইল ল্যাপটপ এসব থেকে যত দূরে রাখবেন ততই ভালো। কারণ ছোট বয়সে মানুষের মস্তিষ্কে এগুলোর প্রভাব পড়ে মনোসংযোগ নষ্ট হয়। নিজেরা বাড়িতে সারাক্ষণ টিভি দেখবেন না তাহলে ওদের অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে।