বাংলাদেশের ঢাকার কাছে বারদীতে প্রয়াত হয়েছিলেন মহাযোগী লোকনাথ ব্রহ্মচারী। এবছর ১৯ ও ২০ জ্যৈষ্ঠ, অর্থাৎ ইংরেজির ৩ এবং ৪ জুন পড়েছে তাঁর তিরোধান তিথি। মানে, শনি এবং রবিবার- দুই দিনই পড়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ ভক্তই ৩ জুন পালন করছেন এই মহাযোগীর ১৩৩ তম তিরোধান দিবস।
লোকনাথ ব্রহ্মচারী ভক্তদের বলেছিলেন, 'রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়বি, আমাকে স্মরণ করবি। আমিই রক্ষা করব।' তাঁর এই আশ্বাসবাণী লোকনাথের তিরোধানের পরও ভক্তদের কাছে আজও বাস্তব। আর, সেজন্যই বাংলার ঘরে ঘরে লোকনাথের আরাধনা ছড়িয়ে পড়েছে। মহাযোগীর তিরোধান ক্ষেত্র বারদী হলেও তাঁর জন্মস্থান হিসেবে অতি পরিচিত চাকলাধাম। লোকনাথ ভক্তদের অনেকেই অবশ্য জানেন না, কীভাবে তাঁরা সহজে চাকলায় পৌঁছবেন।
চাকলা যেতে গেলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বনগাঁ লোকালে চেপে নামতে হবে গুমা স্টেশনে। গুমা স্টেশনের পূর্বদিক থেকে অটো বা টোটোয় চেপে নামতে হবে বদর বাজার। সেখান থেকে আবার টোটো বা অটোয় চেপে যেতে হবে চাকলাধাম। মন্দিরের বাইরে রয়েছে ফুল-মালা সহ ডালার দোকান। সেখানেই জুতো রাখারও ব্যবস্থা আছে। মন্দিরে প্রবেশের পরই বাঁদিকে রয়েছে কাউন্টার। সেখান থেকে কুপন কেটে নিলে ভোগ খাওয়া যাবে।
মন্দিরে প্রবেশের পরই সামনে দেখা যাবে সাদা রঙের মন্দির। এই মন্দিরের ওপর রয়েছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের বড় মূর্তি। পাশে রয়েছে মূল মন্দির। সেখানে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মূর্তি রয়েছে। সেখানেই পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। মন্দিরে রয়েছে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ব্যবহৃত পাদুকাও। চাকলায় লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির চত্বরেই মন্দিরের উলটো দিকে রয়েছে যজ্ঞস্থান। সেখানে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন- স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ এই মন্দিরে নিয়মিত আসতেন, বলেছিলেন এখানকার বিগ্রহ জীবন্ত
কথিত আছে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর জন্ম হয়েছিল ৬ আগস্ট, ১৭৩০ সালে। তিনি ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন বলেই দাবি ভক্তদের। কেউ বলেন, কচুয়াতে তাঁর জন্ম হয়েছিল। আবার কেউ বলেন, মহাযোগীর জন্ম হয়েছিল চাকলায়। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পারিবারিক নাম ছিল লোকনাথ ঘোষাল। মায়ের নাম ছিল কমলাদেবী। বাবার নাম রামনারায়ণ ঘোষাল। চাকলায় লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দির চত্বরেই মন্দিরের উলটো দিকে রয়েছে যজ্ঞস্থান। সেখানে বিবাহ সম্পন্ন হয়।