বয়স নিতান্তই কম। দুষ্টুমি ও করবে না তো কে করবে বলুন। একটু দৌড়াদৌড়ি, চঞ্চল স্বভাবের না হলে বোধহয় শিশুসুলভ ভাব আসে না। কিন্তু ওদের ধীরে ধীরে বড় হতে গেলে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি তেও মন বসাতে হবে তো নাকি! আর ছোট বয়সে ওদের বেঁধে রাখা বড্ড দায়। জোর করে কিছুই করানো সম্ভব নয় সেই কারণেই ওদের যেকোনও কাজে একাগ্রতা আনার চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে।
এমনিতেও এখন স্কুল মানেই নানান ধরনের প্রজেক্ট থেকে প্লে অ্যাক্টিভিটি, সেইভাবে পড়াশোনার বিষয়টা এখন যেন কোথাও কমে গেছে। এবং সেইখানেই যত মুশকিল। আগে শিশুরা একটা নির্দিষ্ট সময়ে খেলাধুলা থেকে টিভি দেখা, সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব নিয়মেই বেশ কিছু পরিবর্তন সেধেছে তাদের সঙ্গে ওদের শৈশবে।
ব্রেন ট্রেনিং কিংবা স্বল্প মেডিটেশন সবথেকে ভাল পন্থা ওদের পক্ষে। এতে একাগ্রতা যেমন বাড়বে তেমনই ওদের কাজে আগ্রহও বাড়বে। এটি একেবারেই ভগবান প্রদত্ত বিষয় নেই, নিজেকেই এটি ঘষে মেজে ঠিক করতে হবে। বাচ্চাদের যেকোনও কাজে মন বসাতে এই বিষয়গুলি কিন্তু ট্রাই করতে পারেন।
১. যদিও মাল্টি টাস্কিং খুব ভাল বিষয় তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একসময় একটি কাজ করাই ভাল। তাহলে সেই কাজের প্রতি ওদের মনোযোগ বজায় থাকবে। অন্যদিকে ধ্যান ঘুরবে না।
২. সারাদিনে পড়াশোনার পাশাপাশি একটু সময় ওদের নিজের মত করে বিশ্রাম নিতে দিন। সব কাজকেই ছোট ছোট পরিসরে ভাগ করে নিন তবে ওদেরই সুবিধা হবে এবং মন ভাল থাকবে। সব ধরনের আনন্দই প্রয়োজন ওদের জীবনে।
৩. মনে রাখবেন কোন কাজটি কোন সময়ে করছে। সেটি পরের দিন পুনরায় একই সময়ে করা উচিত। তবেই ওদের সময়ের ব্যাপ্তি এবং আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি ঘুমের সময়ও যেন একই থাকে। তবেই সেটা ওদের মনে থাকবে।
৪. অনুলোম বিলোম ওদের সঙ্গে করতে থাকুন। আপনাকে দেখেই ও শিখবে তাই নিজেকে ওর সঙ্গে জুড়ে দিন। এতে মনোযোগ বাড়তে পারে।
৫. সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার ওদের খেতে দিন কারণ, ভাল খেলেই ওদের মন ভাল থাকবে। প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস ওদের বুদ্ধির বিকাশে খুব দরকারী।
৬. বিশেষত যে খেলাগুলো বুদ্ধির এবং মন দিয়ে খেলার সেগুলিতে ওদের নিযুক্ত করুন। দাবা কিংবা ব্যবসায়ী এমনকি অ্যাবকাস এগুলি ওকে দিয়ে খেলতে অভ্যাস করতে পারেন।
বাচ্চাদের ধৈর্য ধরানো এত সহজ নয়। ওদের সঙ্গে আপনাকেও শিশুটি হয়ে উঠতে হবে। নয়ত ওরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। নিজের মত ওদের বেড়ে উঠতে দিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন