/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/summer-days.jpg)
প্রতীকী ছবি
বাইরে বেরলেই প্রচন্ড তাপ, সূর্যের প্রখর তেজ এবং তার সঙ্গেই প্রচন্ড ঘাম। শরীরের বেশিরভাগ জল ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে গেলে শুষ্ক ভাব কিন্তু বেড়ে যায়। এবং সেই থেকেই শুরু হয় যাবতীয় সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, ডি হাইড্রেশনের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে মানুষ রোদে একটু সময়ের জন্য বেরলেও তাদের মাথা ঘোরানো কিংবা শরীর খারাপ হওয়ার লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদ নীতিকা কোহলি বলছেন এই সময় বাইরের তাপপ্রবাহ শরীরকে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে তোলে। সঙ্গেই শরীরে লবণের পরিমাণ কমে গেলে ভীষণ ভাবে শক্তি কমে যায়। শীতের পড়ে যেহেতু হঠাৎ করেই গরম পড়ে যায় তাই এই সময় প্রাকৃতিক নিয়মের সঙ্গে বদল আনতে বেশ সমস্যায় পড়েন সকলেই। প্রচন্ড গরমে ভাল করে ঠান্ডা জলে স্নান করা, ঠাণ্ডা জল খাওয়া তো রইলো তবে বেশি করে নিজের শুষ্ক ভাব রোধ করতে হবে।
সান স্ট্রোক অথবা সান বার্ন এই দুটি থেকে মানুষকে রক্ষা পেতে হলে চন্দন সবথেকে ভাল অপশন। দুই থেকে তিন চামচ এটি খাবারে কিংবা দুধের সঙ্গে খাওয়া অভ্যাস করুন তবে শরীরে লো হাইড্রেশন অনেক কমবে। শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।
ফলের মধ্যে বেল এইসময় খুব উপকারী। শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ যেমন দুর করে তেমনই, পাকস্থলী এবং আন্ত্রিক সমস্যার সমাধান করে। হজমের সমস্যার সমাধান করে।
মেথি জল খাওয়া বিশেষ করে এই গরমে খুবই ভাল। তার কারণ এটি শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ দুর করে।
মঞ্জিষ্ঠা, কিছুটা দারচিনির মত দেখতে তবে এটি রক্তে শীতলতা প্রদান করতেই বেশি কাজ করে। অনেক সময় দেখা যায় এটি শরীরের প্রদাহ দুর করতেও বেশ ভাল কাজ করে।
সান বার্ন কিংবা জ্বলে যাওয়া থেকে শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ কম করতে গেলে অ্যালোভেরার থেকে ভাল আর কিছুই নেই। এটি জ্বলা ভাব যেমন কমাতে পারে তেমনই শরীরের প্রদাহ ভীষণ ভাবে কমায়।
এই সময় বিশেষ করে পেটের গোলমাল অথবা বমি ভাব এগুলো বেশি দেখা যায়, তাই হালকা পাতলা খাবার বেশি খাওয়াই ভাল। অনেক সময় দেখা যায় ফ্লুইডের মাত্রা কমে গেলে উঠে দাঁড়ানো মুশকিল হয়ে যায়, তাই অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।